চকরিয়া উপজেলার কাকারায় অবৈধভাবে কৃষিজমির মাটি ও বালু কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসকেভেটর দিয়ে জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটাসহ জমি ভরাট কাজে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না।
জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ কৃষিজমিতে আমন ধান,বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়। কিন্তু প্রতিবছর এ উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমির মাটি কাটা হচ্ছে। এ কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষকদের থেকে মাটি কিনে তা ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছেন মাটি-বালু ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার কাকারায় কয়েকটি শক্তিশালী মাটি ও বালু ব্যবসায়ী চক্র গড়ে উঠেছে। এরা দরিদ্র কৃষককে নানা প্রলোভন দেখিয়ে জমির মাটি কিনে নিচ্ছে। ৮-১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে অনেক জমি ডোবায় পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া কৃষিজমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বড় ডাম্পার পিকাপ গাড়ি। এসব ডাম্পার ও পিকাপের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ রাস্তাঘাটে খানাখন্দ তৈরি হয়ে দ্রুত ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া ডাম্পার ও পিকাপ চলাচলের কারণে আবাদি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শাহ উমর নগর এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল হকের নেতৃত্বে ২-৩ বছর ধরে নিয়মিতভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিবছর অন্তত ২-৩ খানি ফসলি জমির উর্বরতা ও শ্রেণী পরিবর্তন করে ।
অভিযুক্ত এনাম মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা খতিয়ান ভুক্ত জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। আর এই ব্যাপারে প্রশাসন অবগত আছে,চকরিয়ার ভূমি অফিসার পরিদর্শনও করছে।
অন্যদিকে কাকারা ৮নং ওয়ার্ড কামারপাড়া এলাকায় মাতামুহুরি নদীর চর থেকে স্থানীয় শফি মেম্বারের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করে প্রায় ১০ খানি জমির সবজি ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। মাসখানেক পূর্বে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও ডাম্পার জব্দ করলেও থামেনি চক্রটির বালু উত্তোলন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন,খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।