ইমাম খাইর, সিবিএন:
স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ নর্দমার পানি সড়কে চলাচল করেছে। পথ চলতে পারেনি মানুষজন। আবর্জনাযুক্ত সড়কে আটকে যায় যানবাহন। ময়লা পানি ঢুকে গেছে আশপাশের দোকানপাটে।

পাহাড়ি মাটি, পলিথিন-প্লাস্টিকে নর্দমা পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে শহরবাসীকে।

সোমবার (২৭ মে) শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে বহু সড়ক ও অলি-গলি।

অনেক জায়গায় নর্দমাগুলোর ক্যাচপিটে (যেদিক দিয়ে পানি সড়ক থেকে নর্দমায় প্রবেশ করে) পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যাদির জন্য পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতে বাধা সৃষ্টি করছে।

বৌদ্ধমন্দির এলাকায় ড্রেন পরিস্কার কাজের দৃশ্য

বৌদ্ধমন্দির সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো সড়ক নর্দমার পানির দখলে চলে যায়। স্রোত হয়ে চলেছে নালা-নর্দমার আর্জনামাখা পানি। তখন রাস্তায় হাঁটাচলা করা যায়নি। স্বাভাবিক চলাচল প্রায় ২ ঘণ্টা ব্যাহত হয়। অটোরিক্সা জাতীয় ছোটখাটো যানবাহন আটকে থাকে সড়কে। কষ্ট পেয়েছে পথচারীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ছিদ্দিক জানান, যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার কারণে ড্রেনগুলো প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। তাই ড্রেনের পানি গতিপথ না পেয়ে সড়কে ওঠে গেছে। যার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে।

এমন জনভোগান্তির জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানদারদের উপরও দোষ চাপানো হচ্ছে।

১২ নং ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের একাংশ

ভোগান্তি লাঘবে পৌরসভার দ্রুত উদ্যোগ:
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সাথে সাথে ড্রেন ও রাস্তা পরিষ্কারের কাজে হাত দেয় পৌরসভা। নর্দমায় জমে থাকা আবর্জনা তুলে নেয় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। ওয়ার্ড কাউন্সিরসহ সংশ্লিষ্টরা কাজের তদারকি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় ভোগান্তি কমেছে। জন ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম তারিকুল আলম বলেন, নর্দমাসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। তবু কিছু অসচেতন লোকের কারণে নর্দমাগুলো ভরে যায়। যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ ব্যাপারে সবাইকে আরো সচেতন ও নাগরিকবোধ সম্পন্ন হওয়ার আহবান জানান তিনি।