হ্যাপী করিম, মহেশখালী:
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মহেশখালীতে দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাত থেকে এ বৃষ্টি শুরু হয়।
সোমবার (২৭ শে মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বাতাসের গতিবেগ ছিল ১০ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। জোয়ারে প্লাবিত এলাকাগুলোয় প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রেমালের প্রভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। একইসঙ্গে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাবে ও তাপমাত্রা কমবে। পৌরসভা ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় লোকালয়ে মোবাইল, ইন্টারনেট সংযোগ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের পরবর্তী সময়ে ঝোড়ো হওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কোনো এলাকা থেকে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে মহেশখালীতে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো সিকদারপাড়া, ছোট মহেশখালী, কুতুবজোম, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা। সেখানকার বেশির ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে পুরো ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।