#অভিভাবকদের অসাবধানতা
#সাঁতার না জানা

শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অভিভাবকদের অসাবধানতা ও সাঁতার না জানার কারণে ২০২০ সালে প্রায় ৮১ এবং ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৫৩ জনসহ ১ বছর ১১ মাস ১০দিনে প্রায় ১৩৪ জন শিশুর মৃত্যুর হয়েছে।

স্থানীয়দের ধারণা, অভিভাবকদের অসাবধানতা ও শিশুদের সাঁতার না জানা এর প্রধান কারণ। আর বাবা কর্মস্থলে এবং মায়েরা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। ছেলেমেয়েদের খোঁজ রাখা সম্ভব হয় না। এ কারণে পাঁচ বছর বয়সের নিচের শিশুরাই পানিতে ডুবে মারা যায়। একদিকে উপজেলা অধিকাংশ পরিবারের বাড়ির উঠানে বড় বড় পুকুর যে কারণে, পানির উৎস বাড়ির কাছাকাছি যতো, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি ততো বেশি। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মসজিদ,মন্দিরসহ সরকারী ও বেসারকারী ভাবে শিশু ও অভিভাবকদের ওপর শিশুদের পথ চলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিদের্শনামুলক প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য অনুরোধ করেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রেসক্লাবে সভাপতি এস.কে লিটন কুতুবী বলেন,কুতুবদিয়া যত বাড়ি তত পুকুর, পুকুর রক্ষনাবেক্ষন ঘেরা বা পেনসিং পর্যাপ্ত না থাকায় প্রতিনিয়তই শিশুর মৃত্যু বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ দ্বারা মাইকিং, উপজেলা প্রশাসন, এনজিওদের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিটি পরিবারের বাবা-মা তাদের শিশু সন্তানদের গুরুত্ব সহকারে নজরে রাখার অনুরোধ করেন এবং ২০২০ সালে প্রায় ৮১ ও ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৫৩ জনসহ ১ বছর ১২ মাসে প্রায় ১৩৪ জন শিশুর মৃত্যুর হয়েছে বলে তিনি জানান ।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরের জামান চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়ায় দীর্ঘদিন লবনের পানির কারণে খাওয়ার পানির সংকট ছিল সে কারণে মিঠা পানির জন্য ছোট ছোট পুকুর বাড়ির পাশে খনন করা আছে। পুকুরগুলো বাড়ির সংলগ্ন এ বিষয়ে আমরা মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি জন্য বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তথ্য আপা মাধ্যমে যে উঠান বৈঠকগুলো করা হয় মায়েদের তার বিষয়ে সচেতন করা হয়। এনজিও ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পুকুরে পেনসিং দেওয়ার চেষ্টা করতেছি আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই এটার ফলাফল দেখতে পাবো।