নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনার চেয়ারম্যান ঘাটাস্থ হজরত মায়মুনা (রা:) মাদ্রাসা ও আবদুল্লাহ-নাহার হেফজ এতিমখানায় অভিভাবক সমাবেশ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) মাদ্রাসা ভবনে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের হোসাইন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসাইন, পরিচালনা কমিটির সদস্য, ইউনিয়ন ব্যাংক উখিয়া শাখার ব্যবস্থাপক ও জমি দাতা সদস্য এম. জাহেদ উল্লাহ জাহেদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও পশ্চিম চৌফলদন্ডী হাকিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার দ্বীন মুহাম্মদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম ওয়াজেদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শাহ জব্বারিয়া প্রিন্টার্সের সত্বাধিকারী মোহাম্মদ সেলিম। প্রধান শিক্ষক (ভা:) মোজাম্মেল হক এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশে অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট রুহুল কাদের, সাবরিনা ইয়াছমিন, জয়নব আক্তার, কহিনুর আক্তার, কহিনুর আক্তার-২, শাহীনা আক্তার, কামরুন্নাহার, জেসমিন নুর জেসি, রিয়াদ চৌধুরী, তসলিমা বেগম, জসিম উদ্দিন ও নিশাত মর্জিয়া। সমাবেশে ইংরেজি ও বাংলা অর্থ সহ কোরআন তেলাওয়াত করেন মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহতাবিন করিম নওরোজ, ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আরোরা জান্নাত।
সমাবেশ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন, মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ইকবাল। সমাবেশটি সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রাহিম উল্লাহ মামুন, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইমুম, মাওলানা আতিক উল্লাহ ও বারেক উল্লাহ। সমাবেশে প্রায় ৩ শত অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মাদ্রাসা নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হোছাইন।
প্রসঙ্গত, দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে নিজস্ব বহুতল ভবনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হজরত মায়মুনা (রা:) মাদ্রাসা ও আবদুল্লাহ-নাহার হেফজ এতিমখানায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। রয়েছে কৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য “বিশেষ তহবিল” হতে আর্থিক সহায়তা, বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন, উন্নত ও আধুনিক পরেবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে নান্দনিক বিভিন্ন আয়োজন, নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে তৈরিকরা সিলেবাসে পাঠদান, জাতীয় ও বিশেষ দিবস উদযাপন সহ সার্বিক উন্নত ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সুনাম অর্জন এবং অভিভাবক ও এলাকাবসীর বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। আস্থা অর্জন করেছে সংশ্লিষ্ট সকলের।
সমাবেশ শেষে পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জমিদাতা সদস্য মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ জানান, আগামী ২০২৫ শিক্ষা বর্ষে আরো বহুমুখী সুবিধা ও আপডেট সিলেবাস অনুসরণ করে মাদ্রাসাটিতে পাঠদানের সুব্যবস্থা করা হবে। কোমলমতি শিশুদের সুশিক্ষা লাভের জন্য এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিতে বিশিষ্ট ব্যাংকার জাহেদ উল্লাহ সম্মানিত এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
একইভাবে পরিচালনা কমিটির সদস্য মাস্টার দ্বীন মুহাম্মদ বলেন, হজরত মায়মুনা (রা:) মাদ্রাসা ও আবদুল্লাহ-নাহার হেফজ এতিমখানা ব্যতিক্রমধর্মী ও নির্ভরযোগ্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি সহজেই আস্থা রাখা যায়। এ প্রতিষ্ঠান ভর্তি হওয়া মানেই সুশিক্ষা লাভের সহজ সুযোগ। এলাকাবাসীকে এ অবারিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁদের সন্তানদের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য শিক্ষাবিদ মাস্টার দ্বীন মুহাম্মদ সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জব্বারিয়া প্রিন্টার্সের সত্বাধিকারী মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পরামর্শে সম্পূর্ণ অলাভজনক এ মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়। তাই পাঠদান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা খুবই উন্নত। রয়েছে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ। যা শিশুদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক। এজন্য অবাণিজ্যিক এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিশুদের ভর্তি করিয়ে দিতে শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ সেলিম অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
পরিচালনা কমিটির সদস্য সেলিম ওয়াজেদ বলেন, এ প্রতিষ্ঠান আলোকিত মানুষের ভিত তৈরি করতে এলাকায় ব্যাপক অবদান রাখছে। যা সামাজিক অবক্ষয়ের যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।