মহেশখালীর আলোচিত ওসমান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি কলেজ শিক্ষক এহাছানুল করিমের পক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিবৃতি প্রদান করায় ক্ষোভে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানালেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন।
৪জুন সকালে পৌরসভার একটি আবাসিক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হােসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, জে এম বি নেতা বাংলা ভাইয়ের অন্যতম সহযোগী ৬৩ জেলায় বোমা হামলার মামলার ১৭২ নং আসামি এবং মহেশখালীর ওসমান হত্যা মামলার অন্যতম খুনি এহছানুল করিমের পক্ষে তিনি খুনি নয় মর্মে মহেশখালী কলেজ বিবৃতি প্রদান করেছে। যাহা খুবই দুঃখ জনক এই বিবৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
মহেশখালী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহমদ কবির জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে প্রধান মন্ত্রীর সম্মেলনে যোগদান করতে গত ১৪/৭/২৩ ইং তারিখে ঢাকায় গেলে জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি নেওয়া অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জঙ্গি খুনি এহাছানুল করিম গংদের সহযোগিতায় গভর্নিং বডির সভা ও রেজুলেশন ছাড়া সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়া জসিম উদ্দিনের যাবতীয় অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিল এই খুনি এহাছানুল করিম।
বর্তমানে এই খুনি এহাছানুল করিম পলাতক থাকায় জসিম উদ্দিন দুর্নীতিবাজ অন্যন্যা শিক্ষকদের নিয়ে খুনি এহছানুল করিমের পক্ষে বিবৃতি দান করে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত লজ্জা জনক ও দুঃখ জনক।
এছাড়াও এই খুনি এহাছানুল করিম মে ২০২৪ পুরো মাস পলাতক থাকলেও দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন কলেজে নিয়মিত হাজিরা খাতায় এহাছানুল করিমে স্বাক্ষর স্থানে উপস্থিত বা অনুপস্থিত বা পলাতক কোন কিছুই না লিখে কালি রেখে দিয়েছে।
যাতে সুবিধামতো সময়ে তার স্বাক্ষর নিয়ে কলেজে উপস্থিত দেখাতে পারে এবং এহাছানুল করিম পুরো মাস পলাতক থাকা শর্তে ও এহাছানুল করিমের মে মাসের বেতন করার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ গভর্নিং বড়ির কাছে ওই সব শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কথা যখন অভিযোগ যায় তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ফিঙ্গার মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত দেয়।
পরে সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজে ফিঙ্গার মেশিন বসানো হয়।
নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা অনিয়ম কারি শিক্ষকদের পরামর্শে ফিঙ্গার মেশিন বসানোর এক মাসের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে মেশিন নষ্ট করা হয়।
উল্লেখ্য শিক্ষক এহাছানুল করিম সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃজন করে মহেশখালী কলেজে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ লাভ করেছিলো।
এই কতিপয় শিক্ষক এহাছানুল করিম জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিধীকে অমান্য করে সহকারী জজ আদালত কক্সবাজার উপর একটি ১৫৩/২২ মিথ্যা মামলা দায়ের করে কলেজের অচল অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়মিত গভর্নিং বডির গঠন প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ রেখেছে যার ফলশ্রুতিতে মহেশখালী কলেজের অ্যাকাডেমিক,প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা সমূলে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কলেজের জালিয়াতকারি শিক্ষক চক্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ও এহাছানুল করিমের নেতৃত্বে দুর্নীতি ও লুটপাট অব্যাহত রেখেছে।
এসব অপকর্মের কথা আমরা মহেশখালি কলেজে নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধিগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বার বার বলা সত্ত্বেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বরং শিক্ষক ওয়াকার উদ্দিনকে নিয়ে ইচ্ছামতো অবৈধভাবে এডহক কমিটি গঠন করে নানা দুর্নীতি বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড নিয়মিত ভাবে করে যাচ্ছে।
যার পুরস্কার সুরুপ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরীক্ষার সম্মানী উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিয়মিত মাসোহারা প্রদান করেন। ইউএনও বর্তমানে সভাপতি না থাকার সত্ত্বেও যাবতীয় অর্থ লুটপাটের বিল ভাউচারে কোন রকম যাচাই বাছাই ছাড়া অনুমোদন করে যাচ্ছেন অথচ বিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে সভাপতির অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুধু শিক্ষকদের বেতন বিল স্বাক্ষর করতে পারবে।
এই জে এম বীর সদস্য মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কলেজ ধ্বংস কারিনি এহাছানুল করিম কে কলেজ থেকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় মহেশখালীর আপামর জন সাধারণকে নিয়ে জঙ্গি খুনি হত্যাকারী পক্ষ অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
লিখিত স্মারকলিপি পত্রটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার করাবরে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।