জাহাঙ্গীর শামস:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন এর দক্ষিণ হাজী পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৩ ডিসেম্বর ভোরে  চোরাই গাছ  বহনকারী একটি ডাম্পার ও দুজন গাছ চোরকে ধৃত করেছে বন বিভাগ। তবে মূল হোতা জাকারিয়া অধরা।

জানা যায়, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা  সরওয়ার আলম এর নির্দেশনায় বিশেষ টহল টিমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহার নেতৃত্বে ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আসলাম হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সঙ্গীয় সিপিজি সদস্যসহ যৌথ টহল টিমের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে সরকারী বনায়নে রোপনকৃত ৬০ ফুট আকাশমনি গাছ, চোরাইকাজে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার ও দুজন গাছ চোরকে ধৃত করা হয়।

ধৃত দুজন হলেন মোঃ ইউসূফ (২৫) পিতা আবুল কালাম, মোঃ ইকবাল(২০) পিতা বাদশা মিয়া উভয় সাং দক্ষিণ হাজী পাড়া ০২নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা,কক্সবাজার সদর। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আটককৃত ডাম্পারটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার হেফাজতে রাখা হয়েছে।

তবে চোর সিন্ডিকেটের মুল নায়ক দক্ষিণ হাজী পাড়ার মৃত আব্দুল জলিল এর পুত্র মোহাম্মদ জাকারিয়া পলাতক রয়েছে। পলাতক জাকারিয়াকে ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ।

অনুসন্ধানে জানা যায় মোহাম্মদ জাকারিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের অধীনস্হ সামাজিক বনায়নের বন থেকে গাছ চুরি করে আসছিলো। এই জাকারিয়াকে ঝিলংজার প্রতিটি বাগান হতে গাছ চুরিতে কেউ বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে সরিয়ে দিতো। তার অধীনে রয়েছে বিশাল একটি চোর সিন্ডিকেট। বিভিন্ন টোকাই ও পাতি মাস্তান দিয়ে বন বিভাগের বাগান থেকে গাছ চুরি করে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে এই জাকারিয়া। সরকার দলীয় কিছু লোক তার প্রধান মদদ দাতা। ইতিপূর্বে বনবিভাগের কিছু কর্মকর্তাকে হুমকি ধমকি দেওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার হুমকিতে অনেক কর্মকর্তা সাহস করতোনা অভিযান চালাতে। আজকের অভিযানে সামাজিক বনায়নের বিভিন্ন উপকার ভোগীরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (কক্সবাজার দক্ষিন) সরওয়ার আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক বনায়নের সৃজিত বাগান হতে গাছ চুরি হচ্ছিলো, সিপিজি সদস্যদের হুমকি ধমকির অভিযোগ ও পেয়েছি । দক্ষিণ হাজী পাড়ার মোহাম্মদ জাকারিয়ার বিরুদ্ধ। আজ গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে যৌথ টহল পরিচালনা করে দুজনকে আটক করি। মূল হোতা জাকারিয়া পালিয়ে গেলেও তাকে ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সহযোগিত চেয়েছি। আমরাও অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আটককৃত দুজন চোরকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অভিযানে সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীদের সার্বিক সহযোগিত কামনা করেছেন তিনি।