ফারুক আহমদ , উখিয়া ;
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় বাংলা জার্মান সম্প্রীতি ( বিজিএস) এর আয়োজনে উখিয়া উপজেলার জালিয়া ইউনিয়ন মাদারবুনিয়া চাকমা পল্লীতে ক্ষুদ্র নৃ – গোষ্ঠীদের নিয়ে কমিউনিটি মোবিলাইজেশন সভা ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(১৩ ডিসেম্বর ) সোমবার জালিয়া পালংয়ের পাইন্যাশিয়া বিজিএস ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ দিদার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি মোবিলাইজেশন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ছৈয়দ আলম। পিকেএসএফের সিপ প্রকল্পের আওতাধীন পরিচালিত কর্মসূচির সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাহেদুল আলম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাহার উদ্দিন পরিষদের সচিব মিলাথোইন রাখাইন ও হেডম্যান কিচ্ছজন চাকমা ।
বাংলা জার্মান সম্প্রীতি ( বিজিএস) ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ দিদার উদ্দিন বলেন বিজিএস অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়ন মুলক সংস্থা । ১৯৯১ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান বিজিএস। এই চাকমা পল্লীতে গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দেয়। তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় সিফ প্রকল্পের অধীনে কারিগরী ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের আওতায় ২টি ট্রেডে ফ্যাশন গার্মেন্টস ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ে ৩ মাস ব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। তিনি বলেন পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ – গোষ্ঠীর বেকার তরুণ তরুণীদের কারিগরী আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম বলেন শিক্ষা স্বাস্থ্য মানবিক উন্নয়ন ও দুর্যোগে পাশে থেকে কাজ করায় বিসিএস এর সুনাম রয়েছে । এবারে বিজিএস সুবিধা বঞ্চিত উপজাতি জনগোষ্ঠীর তরুণ তরুণীদের বেকারত্ব দূরীকরণে কারিগরি প্রশিক্ষণে আয়োজন করায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নৃ তাত্বিক গোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়ায় পিকেএসএফ ও বিজিএসকে ধন্যবাদ জানান তিনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজিএসের আশ্বাস প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিত কুমার দাস।
অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন বাংলা – জার্মান সম্প্রীতির হিসাব রক্ষক মাহফজুর করিম, ট্রেইনার সেফাউল ইসলাম ও তানিয়া বেগম।