আব্দুস সালাম,টেকনাফ

কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন সদর ইউনিয়নের বরইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসময় জড়িত মায়ানমারের নাগরিকসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বরইতলীর নুর আলমের ছেলে সালামত উল্লাহ(২৪), মায়ানমার বুচিদং জেলার মংডু থানার আশিক্কা পাড়ার সব্বির আহম্মদের ছেলে হারুন আমিন(১৯) (এফডিএমএন ) ও ফেরাংপ্রু এলাকার আলী আকবরের ছেলে আসমত উল্লাহ(১৮) (এফডিএমএন)।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,শনিবার (২৯ জুন) রাতে র‌্যাব-১৫, অভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারির প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ সদর ইউনিয়নস্থ ৯নং ওয়ার্ডের বরইতলী এলাকার জনৈক সালামত উল্লাহর পৈত্রিক পাকা বসতঘরের ভিতর মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল উক্ত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকার জনৈক সালামত উল্লাহর পৈত্রিক পাকা বসতঘরের সামনে উপস্থিত হলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তি ঘর থেকে বের হয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে ৩জন মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তাদের অপর এক সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়। আটক কৃত ব্যক্তিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম-ঠিকানাসহ পলাতক ব্যক্তির নাম ঠিকানাও প্রকাশ করে এবং ২নং ও ৩নং ব্যক্তি জানায়, তারা উভয়েই মায়ানমারের নাগরিক। আটককৃত ১নং আসামীর দেহ তল্লাশিকালে সে জানায়, ধৃত ২নং ও ৩নং আসামীরা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে নিয়ে এসে তার নিকট বুঝিয়ে দেয়। যা ১নং আসামীর পৈত্রিক বসতঘরের শয়ন কক্ষের খাটের নিচে একটি সাদা রঙের প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে মজুদ করে রাখে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের হেফাজতে থাকা সাদা রঙের প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশি করে সর্বমোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। ধৃত ১নং আসামিকে মাদকদ্রব্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ও পলাতক ৪নং আসামি পরস্পর যোগসাজশে ২নং ও ৩নং আসামিদের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সংগ্রহ করে কক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে বলে স্বীকার করে।

তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত আলামতসহ
আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।