সিবিএন:
কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওয়ের ইসলামপুর ইউনিয়নের কৈলাসের ঘোনায় মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত জিসান আকতারের মা মোহছেনা আকতার বাদি হয়ে শুক্রবার হত্যা মামলা হিসেবে মামলাটি দায়ের করেন। ঈদগাঁও থানা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মামলায় নিহত জিসান আকতারের স্বামী শহিদুল হক, তার বড়ভাই জিয়াউল হক ও তার স্ত্রী লুৎফা আকতারকে এজাহার নামী এবং আরো ৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে মোট সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে শহিদুল হকের সাথে জিশান আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন তাহারা যৌথ পরিবারে সুখে শান্তিতে থাকলে পরবর্তীতে স্বামী ও ভাসুরসহ অন্যান্যরা নানা ছল ছুতায় যৌতুকের দাবীতে জিসান আকতারের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। তারপরও ভবিষ্যৎ সুখের আশায় নিরবে নির্যাতন সহ্য করে আসছিলো জিসান আকতার। কিন্তু দিন যতই গড়ায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই নিয়ে কয়েক দফা সালিশী বৈঠকও হয়। কিন্তু যৌতুকে দাবি ও অত্যাচার কমেনি। বাধ্য হয়ে গত দুই বছরে ধারের নাম করে তিন লাখ টাকা নেন স্বামী শহিদুল হক। ওই টাকা শোধ না করেই সম্প্রতি আবারো মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। কিন্তু তা মেনে নেয়নি নিহত জিসান আকতার। বিষয়টি তিনি তার মা ও বাবাসহ পরিবারের অন্যান্যদের জানিয়েছেন। বাবার কাছ থেকে টাকান এনে না দেয়ায় কয়েকদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বেশ মনোমালিন্য তৈরি হয়। এক পর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন চালায়।

এর মধ্যে ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় ছাবের আহমদ ফোন করে জিসান আকতার ও তার দুই মেয়ের মৃত্যুর খবর মাসহ পরিবারের অন্যান্যদের জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ীর সেই রুমের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
স্বামীসহ আর কেউ বাড়িতে ছিলো না।

মামলা বাদি মোহছেনা আকতার জানায়, হত্যা মামলা হিসেবে মামলা করতে না দিতে আসামীদের লোকজন খুব চেষ্টা করেছেন। তারা বিভিন্ন হুমকিও দিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন লোকজনকে ধরে পুলিশের কাছেও তদবির করেছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা হত্যা মামলা হিসেবে নিয়েছেন।

ঈদগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি রুজুর পর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।