‘দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায়’ প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ
কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া নারী ধর্ষণের ঘটনাটি এখন সারাদেশে ভাইরাল। আর এই ইস্যুকে’ই পুঁজি করে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভূয়া ও ভিত্তিহীন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে নিরপরাধ লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে মূল অপরাধীদের সাথে নিরপরাধ লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে। এতে নিরপরাধ লোকজনের মানক্ষুণœ হওয়ার পাশাপাশি বিভ্রান্তিতে পড়ছে পাঠক এমনটাই দাবি করছেন ভুক্তভোগী এনজিওতে চাকরিজীবী দুই যুবক।
গত ২৮ ডিসেম্বর ‘দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায়’ আশিকের গ্রুপে শীর্ষ ১০ অপরাধী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজয় দাশ ও ইরফান নামে দুই যুবক। ওই সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে কক্সবাজারে নারী ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামী চিহ্নিত সন্ত্রাসী আশিকুল ইসলামের সাথে নাকি সম্পর্ক রয়েছে বিজয় দাশ ও ইরফানের। আশিকের নানা অপকর্মের সাথেও নাকি তারা যুক্ত রয়েছে। যদিও এই ঘটনার আসামীদের মধ্যে এই দুইজনের নাম কোথাও নেই। এছাড়া প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তুলেনি। শুধুমাত্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজয় দাশ এবং ইরফান জানান, তারা দু’জনই এনজিওতে চাকরি করছেন দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই সকালে অফিসে যায় আর ফিরতে প্রায় রাত হয়ে যায়। সারাদিন নিজের ক্যারিয়ার আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এরই মধ্যে এই অপকর্মের সাথে যুক্ত থাকার সময়-সুযোগ-মানসিকতা কোনটাই তাদের নেই। এছাড়া তারা ভদ্র এবং শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা’ত দুরের কথা কোন অভিযোগ পর্যন্ত নেই। আর এদিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের অপরাধের সহযোগি হিসেবে প্রকাশ করা হচ্ছে পত্রিকায়।
তারা আরো বলেন, গত ২৬ জুন ২০২১ সালে ইরফানের জন্মদিনে সেলফি তুলার সময় না চাইতেও পাড়ার ছেলে হিসেবে আশিক সেলফিতে অংশগ্রহণ করে। আর সেই ছবিকে কেন্দ্র করে তিলকে তাল করা হচ্ছে। মূলত তারা চাকরি করে সুন্দর জীবন-যাপন করাকে অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। যার কারণে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ ছাপিয়ে মানক্ষণœœ করা হচ্ছে। তারা ‘ দৈনিক পূর্বকোণে’ প্রকাশিত সংবাদের একাংশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি পাঠকদের অনুরোধ করেছে এই মিথ্যা সংবাদ পড়ে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।
প্রতিবাদকারী:
বিজয় দাশ ও ইরফান
মধ্যম বাহারছড়া, কক্সবাজার।