নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের বর্তমান কমিটি ও পূর্বের কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে তুমুল আলোচনা।

জানা যায়, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা যাওয়ার পর কক্সবাজারে আসেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে.এম. আযম খসরু। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম যাচাই করে  ঢাকায় গিয়ে শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কক্সবাজারে শ্রমিক লীগকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে গত ১৭ ডিসেম্বর শাহেদুল আলম রানাকে আহবায়ক ও মুহাম্মদ ফয়সাল চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্য কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে.এম. আযম খসরু। কমিটি ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনা দেখা যায়। জেলা পর্যায়ে সম্মেলন করতে শুরু হয় তোড়জোড়। এতে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা পুনরায় চাঙা হয়ে উঠে।

পরে গত ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির বরাত দিয়ে সংগঠনের প্যাডে মরহুম জহিরুল ইসলাম সিকদারকে সভাপতি ও শফিউল্লাহ আনসারীকে সাধারণ সম্পাদক অবহিত করে পূর্বের কমিটি বহালের নির্দেশনা দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে শ্রমিক লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে  কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রবিবার (০২ জানুয়ারী) ঢাকা থেকে বিকাল ২টার ফ্ল্যাটে বিমানযোগে কক্সবাজারে আসছেন শফি উল্লাহ আনসারী। তাঁকে বরণ করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরে তাঁর অনুসারীরা ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অপরদিকে শনিবার সন্ধ্যায় এক জরুরী সভায় দুপুর ২টায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারীর নানা দুনীর্তি-অনিয়ম নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে নবগঠিত জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটি। জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক শাহেদুল আলম রানা ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ ফয়সালের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। একই সময়ে শ্রমিক লীগের দুই গ্রুপ কক্সবাজার বিমানবন্দরে কর্মসূচি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সুশীল মহল।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, বিষয়টি যাচাই করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।