আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) :

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গত এক বছরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এর অভিযানে ২৩৮ কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯ টাকার মাদক, স্বর্ণ ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৬৯৯টি মামলায় ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও ২০জন এজাহারভুক্ত আসামি পলাতক।
আজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।

তিনি জানান, ২০২১ সালের ১জানুয়ারি থেকে ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনাফের সীমান্ত এলাকা ও চেকপোস্টগুলোতে অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৮৪ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকা। এ ঘটনায় পাঁচজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়া ৪২৯টি মামলায় ৪১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়, ৯ জন পলাতক।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার জানান, ইয়াবার পাশাপাশি সীমান্ত ও চেকপোস্ট থেকে ১৪ কেজি ৪৪৫ গ্রাম গাঁজা, ১৬৬ বোতল ফেনসিডিল, ৫ হাজার ৭৫১ ক্যান বার্মিজ বিয়ার, ৬৯৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৩৮ লিটার চোলাই মদ ও ৯ কেজি ২২১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ১০৭ টাকা। এসব ঘটনায় ৭২টি মামলায় ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়, ২ জন পলাতক।

তিনি আরো জানান, মাদকের পাশাপাশি ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৭ টাকার ৯৫ দশমিক ২৮ গ্রাম সোনা উদ্ধারের ঘটনায় ৩টি মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ৯ কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার ২১৫ টাকার চোরাই পন্য উদ্ধারের ঘটনায় ১৯৫টি মামলায় ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। ৫ জন পলাতক।

২ বিজিবির অধিনায়ক জানান, মাদক, স্বর্ণ ও চোরাই পণ্যের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টেকনাফের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮টি দেশীয় বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪টি খালি খোসা, ৬টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করেছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি সর্তকতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।