আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অখিল ভারতীয় সন্ত পরিষদের জাতীয় আহ্বায়ক এবং জুনা আখড়ার সঙ্গে যুক্ত মহামণ্ডলেশ্বর সন্ত ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী বলেছেন, দেশকে হিন্দুশূন্য হওয়া ঠেকাতে হিন্দুদের বেশি সংখ্যক সন্তান জন্ম দিতে হবে। তিনি বলেন, গাণিতিক হিসাব বলছে যে ২০২৯ সালের পরে, রাজ্যে একজন হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশে একজন অ-হিন্দু প্রধানমন্ত্রী হবেন।

হিন্দি গণমাধ্যম ‘অমর উজালা’সূত্রে প্রকাশ, রবিবার উত্তর প্রদেশে সনাতন হিন্দু সেবা সংস্থার ব্যানারে আয়োজিত সনাতন সাধু সন্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এখানে বক্তারা সংসদে ‘বৈদিক হিন্দু রাষ্ট্র’ গঠনের আহ্বান জানিয়ে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

একেরপর এক বিতর্কিত ও আপত্তিকর বক্তব্যে দিয়ে আলচনার মধ্যে থাকা ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী বলেন, জিহাদীদের কারণে শুধু হিন্দুরাই নয়, সমগ্র মানবতা হুমকির মুখে পড়েছে। ভারতে পরিকল্পিতভাবে একটি বিশেষ শ্রেণির জনসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ না করেই সব হারাতে চলেছি। হিন্দুদের তাদের অস্তিত্ব বাঁচাতে এবং তাদের বোন ও কন্যাদের রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নরসিংহানন্দ বলেন, সময়মতো সতর্ক না হলে হিন্দুত্বের মুখ হয়ে ওঠা যোগি-মোদি কিছুই করতে পারবে না। তিনি বলেন, তিনিও মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তু। ধর্মে দুর্বল হওয়াকে পাপ বলে গণ্য করা হয়। আপনি যদি মর্যাদার সাথে বাঁচতে চান তাহলে সন্তান জন্ম দিন। এবং আপনি যদি বাঁচতে না চান তবে সেটি আপনার ইচ্ছা। বিতর্কিত মন্তব্যে তার আরও দাবি, সনাতন ধর্ম সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে। এই ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে বাঁচার জন্য আজ কিছু মানুষকে জিহাদীদের বুলেটের সামনে বুক উন্মুক্ত করে দাঁড়াতে হবে, যাতে বিশ্ববাসী তাদের বাস্তবতা জানতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাধু ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী। #

-পার্সটুডে