মোঃ মিজানুর রহমান:
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন জেলার ৫ উপজেলার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে পানি কমে গেলেও কিন্তু কমেনি তাদের দূর্ভোগ। এসব পানিবন্দি পরিবারদের মাঝে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসুচী অব্যাহত থাকলে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বন্যার পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ও কাকিনা মহিপুরসহ বিভিন্ন সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
সড়ে জমিন ঘুরে দেখা যায়, তিস্তা নদী পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলোর কাচা-পাকা অধিকাংশ সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে যাওয়ার পর লালমনিরহাটের কাকিনা- মহিপুর -রংপুর সড়ক ভেঙ্গে গেছে বন্যার পানিতে। বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর -লালমনিহাট সীমান্তে মিলনবাজার এলাকায় এ সড়ক ভেঙ্গে যায়।
এতে রংপুরের সাথে মহিপুর হয়ে লালমনিরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর আগে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে লালমনিরহাটের সাথে নীলফামারী জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলায় এ বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছিলো বলে ধারনা করা হচ্ছে। হাজার হাজার ফসলি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, তিনি তিস্তা পাড়ে আছে। পানিবন্দিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।