এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের আশপাশ এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবত ডেরা গেরেছে একটি বন্যহাতির পাল। ওই পালে ৮-১০টি বন্যহাতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমানে ওই বন্যহাতির পালটি সময়ে সময়ে হানা দিচ্ছে আশপাশের ধানক্ষেতে। এতে আশঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কৃষকদের মাঝে।
সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর ভোরে বন্যহাতির পাল হানা দিয়েছে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৌলভী কাটা গ্রামের উত্তর পাশে বেশকিছু ধানী জমিতে। ওইসময় হাতির পালটি বেসুমার ক্ষেতের সোনালী ফসল লুটে নিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষেতের ভেতরে হাটাহাটি করে ব্যাপক তা-ব চালিয়ে নষ্ঠ করে দিয়েছে বিপুল পরিমাণ ধানক্ষেত।
এই অবস্থায় ক্ষেতের সোনালী ফসল ধান রক্ষায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চেয়ে গত ১৭ অক্টোবর চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ধানক্ষেত মালিক ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী। পাশপাশি তিনি বিষয়টি স্থানীয় বনবিভাগকেও অবহিত করেছেন। খবর পেযে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন ডুলাহাজারা বনবিটের বনকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মৌলভী কাটা গ্রামের মনির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলী চকরিয়া থানায় লিখিত জিডিতে জানান, তার বসতবাড়ির উত্তর পাশে পাহাড়ের লাগোয়া তিন কানি জমিনে তিনি এবছর ধান রোপন করেছেন। কিন্তু কদিন আগে একটি বন্যহাতির পাল সেখানে এসে জমিনের বিপুল পরিমাণ ধান খেয়ে ফেলেছে। আবার কিছু জমির অংশের ধানক্ষেত হাটাহাটি করে তা-ব চালিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমার আর্থিকভাবে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।
বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জেনে ইতোমধ্যে ডুলাহাজারা বনবিটের বনকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমাদের পক্ষথেকে বন্যহাতিগুলো তাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।