প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

গত ২৯ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ৩য় জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার জেলা এর জেলা যুব মৈত্রী সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি যুবনেতা কাইছার আলম, উদ্বোধন শেষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওর্য়াকর্স পার্টির পলিট বূরো সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড হাজী বশিরুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওর্য়াকর্স পার্টি কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড মাঈন উদ্দিন হাসান সাহেদ, কেন্দ্রীয় জেলা ওর্য়াকর্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলীয় সদস্য খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় যুব মৈত্রীর কার্যনিবার্হী সদস্য অরন্য অনিমেষ, জেলা যুবমৈত্রী সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহামেদ, সহ-সভাপতি জেপেলিয়ন দত্ত জেপু, যুবনেতা জিকু পাল। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওসমান গণি।

সভায় বক্তব্যে বলেন, করোনা পরবর্তী সারা বিশে^ যেখানে অর্থ নৈতিক সংকট এর মুখোমুখির মধ্যে রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ৩য় বিশে^র দেশগুলো অস্তিস্থ সংকট মোকাবিলায় ব্যস্ত তখন দেশের এক শ্রেণীর ধনাত্য পুজিবাদী দেশের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে নিজেদের আখের গোছানোর ব্যস্ত কক্সবাজার জেলাতে ও ব্যবসা বার্নিজ্য থেকে পৃথিবীর অন্যতম অর্থ যোগানদাতা ব্লু-ইকোনোমিক জোন ও নিয়ন্ত্রন করছে। ধনাঢ্য পুঁজিবাদী গোষ্ঠী এ জেলায় বি.এন পি জামাত এর সৈরাচারী শাসনামলে অবৈধভাবে যে সকল অবৈধ প্লট বরাদ্দ হাইকোটের রায়ের পরও তা বাতিল হয়না এক্ষেত্রে যুবমৈত্রীকে কক্সবাজার জেলার সাধারণ জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়াতে হবে। সরকার রোহিঙ্গাকে জায়গা দিয়েছে নির্বাচনের স্বীকার বলে- সে ক্ষেত্রে এই দেশের জন্মগ্রহণকারী জনগণ সাংবিধানিক অধীকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে- সেটা মেনে নেওয়া যায় না। করোনাকালী সময় হোটেল শ্রমিকদের চাকুরীচ্যূত করা হয়েছে। তাদের জন্য কক্সবাজারের পর্যটন ঘিরে অর্থ নৈতিক জোনের ব্যবস্থা আবশ্যক। আঞ্চলিক শিক্ষিত বেকার যুবকদের অগ্রধিকার দেওয়া উচিত। ২০১৮ সালের ইশতেহারে সাম্প্রদায়ীক হামলা বন্ধ সংখ্যালঘু কমিশনে, ঘরে ঘরে সরকারী চাকুরী নিশ্চিত, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখা সহ যে সকল প্রতিশ্রুতি তা বাস্তবায়নে রাষ্ট্র-সরকার উধাসিনতাকে মোকাবেলা করে যুব মৈত্রী গরীব মেহনতি মানুষের পক্ষে রাজপথে থাকবে। অধিকাংশ খাদ্য সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দা এরাতে এই বছর উত্তরাঞ্চলে আমনের যে বাম্পার ফলন হয়েছে তা মধ্য সত্তভোগিদের দখল হতে রক্ষা করে জাতীয় সংকট মোকাবিলায় যোগান দিতে যুবমৈত্রীর প্রয়োজনে কৃষকের পাশে থাকবে। সরকারী স্বায়ত্ব শাষিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য রুখে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করতে যুব মৈত্রী তার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে লরে যাবে। এই দেশ আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিনত হবে। সরকার এই প্রচারণা চালালেও উন্নত দেশের আদলে বেকার ভাতা চালু করার পদক্ষেপ নেই না। তার মধ্যে আই,এম এফ থেকে ঋণ নিয়ে দেশের সাম্প্রতিক সংকটময় অর্থনৈতিক অবকাঠামো সংকারের উদ্যেগ নেয়া পর পরই আই,এম এফ শর্ত নিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রস্তাবে জোর দিয়েছে সরকারের এই ক্ষেত্রে নিরব সম্মতি দেশকে আরো আর্থিক বিপর্যয়ের দিকে চলে যাবার আশংকা রয়ে যায়। তাই যুব মৈত্রী এই ক্ষেত্রে রাজ পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।