শাহীনবাগে বিএনপিকর্মীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দেখা করার বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন। ২৫ ডিসেম্বর, রোববার সকালে ঢাকার রুশ দূতাবাস বিবৃতিটি প্রচার করেছে।

বিবৃতিতে মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলে ক্রমাগত অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে যাচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহীনবাগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তখন নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

ওই ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন পিটার হাস। সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের ঘটনাটি লক্ষ করেছে রাশিয়া। প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিরোধী দলের এক নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন পিটার হাস। সেখানে একটি সংগঠনের লোকজনের কারণে তার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রদূতের সেখানে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন না সংগঠনটির লোকজন।

ওই ঘটনাকে ‘প্রত্যাশিত’ বলে অভিহিত করে মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের মানবাধিকার সুরক্ষার নামে ক্রমাগত দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন পিটার হাস। তাই ঘটনাটি মার্কিন কূটনীতিকের তৎপরতার প্রত্যাশিত ফল।