অনলাইন ডেস্ক: সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ইন্তেকাল করেছেন। আজ শনিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগসহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার রাত ৩টা ২ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।’
উকিল আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আব্দুস সাত্তার আইন, মৎস্য, ভূমি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি।
পরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। পরে সংসদ থেকে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন। এরপর তাঁকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
-আজকের পত্রিকা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।