নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নিজের প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম উইঅন।

শনিবার গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ সংবাদ সম্মেলন করে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনেন।

তিনি বলেছিলেন, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড—এসব প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরানো হয়েছে। “তারা প্রতিষ্ঠানের মালিক নয়।” এই প্রতিষ্ঠান গুলো গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইনি পরামর্শদাতা মাসুদ আক্তার এক বিবৃতি জানান, এখন গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ কল্যাণের প্রধান হবেন এ কে এম সাইফুল মজিদ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা গ্রামীণ পরিবারের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করে নেওয়ার অভিযোগ জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, বহিরাগতরা “জোরপূর্বক” অফিস দখল এবং কর্মীদের তালাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।

এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে ইউনূস সেন্টার।

রবিবার বিজ্ঞপ্তিতে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ তার সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তার কোনো শেয়ার বা মালিকানা নেই। তিনি তার সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কখনও কোনো অর্থ বা সম্মানী নেননি। তিনি শুধু গ্রামীণ ব্যাংকে থাকাকালে ব্যাংকের বেতন স্কেল অনুযায়ী অর্থ নিয়েছেন।