শেফাইল উদ্দিন

আমরা বিগত ১৭ বছর যাবত বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত। গত পনেরো বছর আওয়ামী লীগ দ্বারা এবং এর আগে দুই বছর সেনা সমর্থিত সরকার দ্বারা নির্যাতনের শিকার।

ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপি পরিবার কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে প্রিন্স অফ ঈদগাঁও ক্লাবে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন। ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আলমগীর তাজ জনির সঞ্চালনায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম, মমতাজুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা যথাক্রমে শওকত আলম শওকত, শহীদুর রহমান শহীদ, জানে আলম,মনজুর আলম, আব্দুচ শুক্কুর, আব্দুস সালাম, আকতার উদ্দিন, হারুন অর রশিদ, বেলাল উদ্দিন বেলাল, কামাল হোছাইন, আনিসুর রহমান, আব্দুল জব্বার প্রমুখ।

লুৎফুর রহমান কাজল আরো বলেন, কোন ধরনের ভয়-ভীতি ও নির্যাতন আমাদেরকে কাবু করতে পারে না। যার প্রমাণ হচ্ছে আজকের এই বিপুল জনসমাগম। বছর যতই যাচ্ছে জনসমর্থন তত বাড়ছে।

খুটাখালীতে মাঠের পলিথিন কেটে লবণ লুটের অভিযোগ

প্রতিবছর আমরা এ ধরনের উৎসবে দেখাসাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়ের সুযোগ পাই।

বিএনপি’র এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, রমজান মাস আসলে সমগ্র বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম কমে। আর বাংলাদেশে ক্রমাগত বাড়ে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, একটি তরমুজের দাম ৫০০ টাকা শুনে যেন তিনি বৈদ্যুতিক শট সার্কিটে আক্রান্ত হন।

বর্তমানে গরুর মাংস ৯ শত টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে বলে জানান।

সরকারি দলের সিন্ডিকেট বাজির কারণে সব কিছুর দাম দিন দিন বেড়েই চলছে।

তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া কোন সভা- সমিতিও গঠিত হচ্ছে না। তিনি আওয়ামী লীগকে শয়তানের আড্ডা খানা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর আমাদের সরকার তাদেরকে আশ্রয় দান ও জামাই আদর করছে।

বিএনপি’র এ নেতার মতে, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী- বিজিপির সদস্যরা প্রাণ রক্ষার্থে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে।আর সরকার উল্টো তাদেরকে মিয়ানমারের হাতেই তুলে দিচ্ছে।

সরকার প্রত্যাবাসনের নামে এক ধরনের ঠকবাজি করছে। তিনি রোহিঙ্গাদের সসম্মানে নিজ দেশে প্রত্যাসন দাবি করেন।

উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার আঙুল ফুলে ‘বটগাছে’ পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের প্রত্যেক নেতা কর্মীর ঘরবাড়ি দেখলে তা বুঝা যায়। অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের ছোটখাটো ঘর করার সামর্থ্যও নেই।

তিনি বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে সরকার অহেতুক নানা হয়রানি করছে উল্লেখ করেন। বলেন, জেলায় বিভিন্ন মামলায় বিএনপি’র ১৫ হাজার নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ২০০ জন নেতাকর্মী কারা নির্যাতিত। দশজন নেতাকর্মী শহীদও হয়েছেন।

এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আব্দুল কাদের মাস্টার, সাবেক মেম্বার মমতাজ আহমদ, মেম্বার নুরুল আলম, মোস্তফা কামাল, মেম্বার ফরিদুল আলম, হান্নান সিরাজ, জাহাঙ্গীর বাঙালি, মো. আজমগীর, মো. ফেরদাউস, আজিজুল হক রুবেল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুল আলম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, আবু তাহের মুন্না, শফিউল আলম তাজ, আবু হেনা, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল মালেক, আবুল কালাম, মোস্তাক আহমদ, সাজ্জাদ, আব্দুর রহমান, সাদেক প্রমুখ।