জালাল আহমদ, ঢাকা:

মামলা-হামলায় জর্জরিত রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা দলটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে সবচেয়ে ‘করুণ এবং নিরানন্দ’ ঈদ উদযাপন করবেন এবার।কারাগারেই ঈদ করবেন হাজারো নেতাকর্মী। কেউ ঈদ করবেন আত্মগোপনে এবং কেউ ঈদ করবেন নির্বাসিত জীবনে।

বিগত দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে এমনিতেই কোন ঈদ আনন্দ নেই। সর্বশেষ সরকার বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে এবারের ঈদ হবে ‘করুণ এবং নিরানন্দ’। কারাবন্দী হাজারো নেতাকর্মী ঈদ করবেন জেলখানায় এবং সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নেতাকর্মীরা ঈদ করবেন আত্মগোপনে। গুলশানে গৃহবন্দী অবস্থায় ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিদেশে নির্বাসিত জীবনে ঈদ করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান , বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ সহ কয়েকজন নেতা।

জানা যায়,পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বাস্তবতায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১৯৭৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।১৯৮১ সালে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সামরিক বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যদের ক্যু’তে প্রাণ হারান জিয়াউর রহমান। দলের প্রধান হন বিচারপতি আবদুস সাত্তার।পরে তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার থেকে ক্ষমতা দখলের পর ৯ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল বিএনপি। কিন্তু দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এতো মিথ্যা মামলা ছিল না। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ গুলোতে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের আধিপত্য এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।টানা ৯ বছর আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতায় ফিরে আসে বিএনপি।১৯৯৬ সালে

দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেও ১১৬ টি আসন নিয়ে বিএনপি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিরোধীদল ।বিএনপি সে সময়

মামলা এবং হামলার শিকার হলেও বেশী ভোগান্তি পোহাতে হয় নি দলের নেতাকর্মীদের কে।

রাজনৈতিক বিবেচনায় জামায়াত সহ তিনটি দলের সঙ্গে জোট গঠনের মাধ্যমে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কে হারিয়ে দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি ।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর সর্বশেষ বিএনপি পরিবার আনন্দের সাথেই ঈদ উদযাপন করেছিল ।তার ঠিক চার দিন পর ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি -বৈঠার‌ আন্দোলনে বিএনপি জামাতকে কঠিন মূল্য দিতে হয় রাজপথে। ফলে আনন্দের সেই ঈদ কিছুটা বিষাদে পরিণত হয়।২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ঈদুল আযহা কেড়েছে আনন্দ এবং বিষাদে। এরপর ১১ জানুয়ারি দেশ-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণে সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেল-জুলুম, মামলা -হামলা , নির্যাতন -নিপীড়ন যেন বিএনপি পরিবারের সদস্যদের ‘নিত্য সঙ্গী’।

২০২৩ সালে বিএনপির সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলন কে ঠেকাতেই সরকার আদালত কে ব্যবহার করে শত শত মামলায় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সাজা প্রদান করে।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের কাছে দলের নেতাকর্মীদের মামলার সঠিক সংখ্যা এবং সাজাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের তালিকা জানতে চাইলে তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এর তথ্য অনুযায়ী প্রায় একশ মামলায় কমপক্ষে ১৮শ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। তিনি জানান, “শুধু মাত্র বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়, পুরো দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের অপকর্ম এবং দু:শাসনের কারণে নিরানন্দ ঈদ উদযাপন করছে। নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট তো আছেই।”

সর্বশেষ গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কে কেন্দ্র করে মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলায় ২৫ হাজার নেতাকর্মী কে আটক করা হয়। বিএনপি নেতা পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এসব মামলাগুলো যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত , তা গণমাধ্যমে দেয়া শাসকদলের তৎকালীন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক সমঝোতা হলে একদিনে সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও তিনি বলেছিলেন।

রাজপথে বিএনপির আন্দোলন কে দমন করতে মামলার পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাসা বাড়িতে ‘চোরাগুপ্তা’ হামলা চালায় সরকারের এজেন্টরা। গ্রেফতার এড়াতে লাখ লাখ নেতাকর্মী ধানক্ষেত এবং বনজঙ্গলে আশ্রয় নেওয়ার ছবি সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি ছিলেন। সেই সময় তিন মাসে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

রমজান মাসে কেন বিএনপির নেতাকর্মীদের আদালতে আত্মসমর্পণ: রমজান মাসে জেলখানায় বন্দীদের হয়রানি কম এবং খাবারের মান কিছুটা উন্নত । তাই রমজান মাসে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বন্দিদের জামিনে দৌড়ঝাপ করছেন দলের আইনজীবী এবং স্বজনেরা।কিন্তু শুনানিতে আটকে আছে অনেকের জামিন।অনেকের জামিন হাইকোর্টে মঞ্জুর হলেও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের আপিলের কারণে চেম্বার জজ আদালতে আটকে আছে। এমনই একজন আলোচিত দুই শিশুর ‘হতভাগা’ মা হাফসা আক্তার।

কারাগারেই ঈদ করবেন হাফসা আক্তার:

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত স্বামী কে না পেয়ে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তার সহধর্মিণী হাফসা আক্তার কে। কোতোয়ালী থানার একটি মামলায় পুলিশ গ্রেফতার দেখালে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তাকে। নিম্ন আদালতে একাধিকবার জামিন নামঞ্জুর করার পর গত ১০ মার্চ হাফসা আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ঈদের আগে কয়েকবার জামিন শুনানি হলেও জামিন পান নি তিনি।ফলে মা কে ‘ছাড়াই’ চার বয়সী শিশু নুরজাহান নূরী ও ৭ বছরের শিশু আকলিমার ঈদ কাটবে এবার। অপরদিকে তাদের মা হাফসা আক্তার কারাগারেই ঈদ করবেন।

কারাগারে ঈদ করবেন যারা:

এবারের ঈদে কারাগারে ঈদ করবেন -বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন- নবী খান সোহেল এবং লায়ন আসলাম চৌধুরী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী এবং তারেক রহমানের সাবেক পিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর—৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ—সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী , দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী নয়ন, সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন সহ হাজারো নেতাকর্মী।

আত্মগোপনে ঈদ করবেন যারা:

দলের যেসব সাজাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন নি, তাদের কে আত্মগোপন অবস্থায় ঈদ করতে হবে। এই তালিকায় আছেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল সহ কয়েকজন নেতা।

নির্বাসিত জীবনে ঈদ করবেন যারা: দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ সহ এক ঝাঁক বিএনপি নেতা দেশের বাইরে ‘নির্বাসিত’ জীবনযাপন করছেন। ১/১১ এর পর থেকেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন নি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।২০০৭ সালে ২ টি ঈদ ই কারাগারে উদযাপন করেছেন এই নেতা।২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও লন্ডনে চিকিৎসা করতে গমন করায় সেবার তাঁকে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করতে হয়। সেই ২০০৮ সাল থেকেই লন্ডনে টানা ঈদ করছেন তিনি। এবারও তিনি লন্ডনে ঈদ করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ কে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা আন্দোলনে মুখপাত্রের দায়িত্ব পালনকালে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গুম করা হয়েছিল । দীর্ঘ ২ মাস পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে তাঁর খোঁজ মিলে। সেই ২০১৫ সালের ১০ মে থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন কক্সবাজার -১ (চকরিয়া -পেকুয়া) সংসদীয় আসন থেকে তিন বার নির্বাচিত সাবেক এই সংসদ সদস্য। দেশের বাইরে থাকলেও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন সাবেক এই ছাত্রদল নেতা। বিগত বছরের ন্যায় এবারও তিনি ভারতের শিলং শহরের এক হোটেলে ঈদ করবেন।

কর্মীদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সুবিধাভোগী নেতারা: দলের সুসময়ে বিএনপির নাম বিক্রি করে ‘কোটিপতি’ বনে যাওয়া ব্যবসায়ী ও আমলা নেতারা দলের ত্যাগী কর্মীদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সাবেক এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান , সাবেক এমপি মোসাদ্দেক হোসেন ফালু, গুলশানের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কামাল জামাল মোল্লা সহ বিএনপির আমলে সুবিধাভোগীরা এখন দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

দলের নেতাকর্মীদের ‘আগলে’ রেখেছেন ত্যাগী নেতারা: জেল -জুলুম, নির্যাতনের শিকার হলেও দলের নেতাকর্মীদের কে ‘আগলে’ রাখার চেষ্টা করছেন দলের ত্যাগী নেতারা।এসব নেতারা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কেউ দ্বিতীয় এবং কেউ তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন। কেউ জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবু দলের নেতাকর্মীদের কে ‘আগলে’ রাখার চেষ্টা করছেন এসব নেতারাই।

নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার পাঠাচ্ছেন তারেক রহমান: বিগত আন্দোলনে রাজপথে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার পাঠাচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারাদেশে বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীদের তালিকা করে তাদের কে ঈদ উপহার পাঠাচ্ছেন তিনি।

কী বলছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা:

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আবেদ রাজা বলেন, “সর্ব বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকে না তাকিয়ে দল বা অঙ্গসংগঠনের প্রত্যেক স্তরের কমিটি নির্যাতিত,কারাবন্দী,গুম এবং শহীদ পরিবারের পার্শ্বে দাঁড়ালে দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী বর্তমান নিকৃষ্টতম ফ্যাসীবাদী শাসন ব্যবস্থা কে রুখে দিতে উজ্জীবিত হবে।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ মামুন জানান,”দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গন থেকে ডিগ্রি অর্জন করেও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কোন চাকরি বা ব্যবসাবাণিজ্যে সম্পৃক্ত হই নি।

যার কারণে পরিবার,বন্ধু বান্ধব ও সমাজের কাছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিগৃহীত হচ্ছে। এমনকি নিজ দলের কাছেও উপেক্ষিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। আমাদের কাছে ‘ঈদ’ বলে কিছু নেই।”

কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম জানান,”দলের জন্য ত্যাগ করা আমাদের ভাইদের আমরা কখনো ভুলে যাইনি এবং যাবনা। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার কথা মনে রেখেছেন এবং তাদের পাশে আছেন। তার নির্দেশে আমরা নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমাদের ভাইদের এই যে ত্যাগ এটা আমরা বৃথা যেতে দেবনা। দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বিজয় অর্জনের মাধ্যমে আমরা এই দুঃশাসনের অবসান ঘটাব। ইনশাআল্লাহ।”