ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তৃতীয় ধাপের স্থগিত করা ২২ উপজেলার মধ্যে ২০ উপজেলার ভোট গ্রহণের জন্য আগামী ৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৮টি উপকূলীয় জেলা ও একটি পার্বত্য উপজেলার ভোট স্থগিত করেছিলাম প্রথম। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে চাঁদপুরের দুটি উপজেলা এবং সড়ক যোগাযোগ সমস্যার কারণে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছিলাম। মোট দুইবারে ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া মামলাজনিত কারণে চান্দিনার ভোট স্থগিত করা হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের তফসিল অনুযায়ী, চান্দিনার ভোট ৫ জুন হবে। এ ছাড়া চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জের ভোট ৫ জুন হবে। বাকি ২০টি উপজেলার ভোট হবে ৯ জুন রবিবার।’
তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করে কমিশন। ফলে ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভোট স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।