পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যুতে নির্যাতনের অভিযোগে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।
আজ সোমবার (৩ জুন) আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে।
নিহত আফরোজা বেগম অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের জলিল মোল্লার স্ত্রী।
যশোরের অভয়নগর থানায় পুলিশ হেফাজতে আফরোজা মারা যান। পরিবারের অভিযোগ ঘুষের দাবিতে তাকে পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। যা সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
গত ১ জুন শনিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ২ জুন সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে আফরোজা বেগম থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ বোধ করলে তাকে থানায় ফিরিয়ে আনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পুনরায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আফরোজা বেগমের ছেলে অভিযোগ করেছেন, তার মাকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই আফরোজা বেগম মারা গেছেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আফরোজা বেগমের পরিবারের অভিযোগ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তার মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে।