অনলাইন ডেস্ক: বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা বাবা এবং তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে গ্রেপ্তারের একদিন পর আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তার বাবা-ছেলে হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার ছেলে আরিফ (২৬)।

এ ব্যাপারে কথা হয় ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার মেয়ের বাবা নেই। আমি শাকপাতা বিক্রি করে রোজগার করে খাই। কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ আমাকে বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে অধিকাংশ সময় নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকত। মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করাত। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করবে কখনই ভাবিনি। বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না। আমার মেয়ে এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

বাবা-ছেলে ধর্ষণের বর্ণনা দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী বলে, নুর ইসলামকে আমি খালু বলে ডাকতাম। তাদের বাসায় গেলে আমাকে দিয়ে তারা কাজ করাতেন। প্রায় দিনই নুর ইসলাম আমার শরীরে হাত দিতেন। বিয়ের করার কথা বলতেন। আমি চুপ করে শুনতাম। তার ছেলে আরিফও একই কাজ করতেন। পরে এক দিন আরিফ জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে আরও দুই দিন ধর্ষণ করেছে। ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। এখন সবাই বলছে আমার নাকি বাচ্চা হবে।

অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।-নিউজ ২৪