ডেস্ক নিউজ:
রাজধানী ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি সামছুল হক চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ইফতার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মসজিদ মিশন সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক যথাক্রমে অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মিঠু, অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি ও ঢাকা বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঈন উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ট্রেজারার অ্যাডভোকেট মো: ইউসুফ আলী, ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রোকন রেজা, ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ঢাকা জজ কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন খন্দকার। আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো: ওমর ফারুক ফারুকী সহ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শুধু ল’বুক নয় কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করে দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে আইনজীবীদের ভূমিকা রাখতে হবে। বিচার ব্যবস্থা তথা আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মহান আল্লাহর প্রথম নাযিলকৃত শব্দ ইক্বরা অর্থাৎ পড় এবং মহান রবের নামেই পড়া শুরু করতে বলা হয়েছে। রমাদান মাস কুরআন নাজিলের কারণেই এত সম্মানিত। বাংলাদেশে সত্যিকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন আদালতে কুরআনের বিধান অনুসরণের বিকল্প কিছু নেই। সাথে আইন অঙ্গনে গতিশীলতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বিচারপ্রার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় নৈতিকতা সম্পন্ন বিচারক নিয়োগ করতে হবে।
অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন, দেশের বিজ্ঞ আইনজীবীগণকে আইন অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। একইসাথে দেশের বিচার ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে আইনজীবীগণকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের পূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনতে অবদান রাখতে হবে।
ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, রাসূলের (সা.) আদর্শকে দেশ রাষ্ট্র সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই কেবল প্রকৃত সুখ শান্তি নিশ্চিত হবে। মানুষের মাঝে অপরাধ প্রবনতা কমে যাবে। সকলে নিজ কর্মে দায়বদ্ধতা থাকার জন্য সচেতন ভাবে আত্মনিবেদিত হবেন। এজন্য প্রত্যেক আইনজীবীকে কুরআনের জ্ঞান জেনে তা অনুযায়ী আমল করতে হবে। এই রমাদানের মূল শিক্ষাও সেটি।
অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, বাংলাদেশে আজ আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। দিনে দুপুরে ব্যারিস্টার আরমান, ইলিয়াস আলী, সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আযমী সহ দেশের অনেক বিশিষ্ট নাগরিকেরা গুমের শিকার হয়েছেন। দেশে যদি সত্যিকার ন্যায়বিচার থাকে তাহলে সরকার তাদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুক এটা সরকারের দায়িত্ব।
উল্লেখ্য যে, ইফতার মাহফিলে আসন্ন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাধী প্যানেলের প্রার্থীগণ নিজেকে বিজয়ী করার জন্য সাধারণ আইনজীবী ভোটারদের কাছে ভোট চান। বিশেষ করে অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার যার ব্যালট ক্রমিক নং ২৩ যিনি আইনজীবী ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।