⬛#শহীদ_জিয়ার_প্রতি_গভীর_শ্রদ্ধাঞ্জলী

✍️শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী। অস্ত্রহাতে সম্মূখ সমরে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা। বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েও সততায় শহীদ জিয়া ছিলেন বিরল দৃষ্টান্ত। স্বজনপ্রীতি কখনো উনাকে ছুঁতে পারেনি। উনার চরম বিরোধীরাও উনাকে দুর্নীতিবাজ বলতে পারেনি। সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি কোনদিন। এখানেই উনার সফলতা। শহীদ জিয়ার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়েছে। উনার সল্প শাসনামলে পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশ ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধ সহ মুসলিম উম্মাহর জন্য উনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতে উনি ছিলেন অটল। সার্ক গঠন উনার আরেকটি বড় সফলতা। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমান প্রিয় মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমিও কাউকে হাত দিতে দেননিনি। তালপট্টি দ্বীপ উদ্ধার তার জলন্ত প্রমাণ।

শহীদ জিয়া প্রফেশনাল রাজনীতিবিদ না হয়েও তিনি রাজনীতিতে শুদ্ধতা এনেছিলেন। বহুলদীয় ( Multi party) রাজনীতি চালু করেছিলেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চেয়েছিলেন। দেশ গঠনে সবদল, মত ও পথের সবাইকে একত্রিত করার প্রচেষ্টাও উনার পজিটিভ রাজনীতির অংশ ছিল। সল্প সময়ে জনগণের কাছে উনার জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ছিল আকাশসম। অনেককে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। উনার শাসনামল ছিল মাত্র কয়েকবছরের। কিন্তু সফলতা এবং অর্জন ছিল শতভাগ। এসব বিবেচনায় জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।

শহীদ জিয়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো উনার রাজনৈতিক দর্শনের সফলতা। উনার Political Philosophy বা রাজনৈতিক দর্শনের মুল ভিত্তি ছিল ❝বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ❞। আমরা দেখেছি ৮০ ও ৯০ দশকে বাঙালি ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিতর্ক তুঙ্গে ছিল। এই দুই জাতীয়তাবাদের দন্ধে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল দুইভাগে বিভক্ত। জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পর কালের পরিক্রমায় শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের মুল ভিত্তি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ আজকে দেশে সুপ্রতিষ্টিত। ❝বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ❞ ই এখন আমাদের জাতীয়তার পরিচয় বহন করছে। শহীদ জিয়া বা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চরম বিরোধী শত্রুরাও জাতীয়তার পরিচয়ে ❝বাংলাদেশী❞ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এটিই বাস্তবতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করার সুযোগ এখন আর কোন শক্তির নেই। এটা ছিল বিএনপির জন্য অনেক বড় অর্জন। জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের ৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও এই অর্জন কি আমরা (বিএনপি) Capitalize করতে পেরেছি?

বিএনপির সম্মানিত জাতীয় নেতৃবৃন্দ‚
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের একজন কর্মী হিসাবে আশাকরি বিএনপি শহীদ জিয়ার আদর্শের পথে চলবে। ইনশাআল্লাহ রাজনৈতিক সাফল্য আসবেই। শহীদ জিয়াকে এদেশের মানুষ এখনো মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। নেতাদের প্রতি অনুরোধ নিজেদেরকে নয় শহীদ জিয়াকে বেশী বেশী জনগণের কাছে তুলে ধরুন। পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানারে নেতাদের ছবি ছোট করে বা একেবারে বাদ দিয়ে শহীদ জিয়ার ছবি বড় করে দেন। শহীদ জিয়াকে মানুষের কাছে নিয়ে যান। নব প্রজন্মের কাছে শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের কাহিনী এবং রাজনৈতিক সফলতা তুলে ধরুন। তবে এসবের জন্য সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। সুতরাং নিজেদের পছন্দের মানুষকে নেতা না বানিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ দিন। কর্মীরাই নেতা বানানোর কারিগর। নেতারা নয়। দয়া‚ অনুকম্পা‚ গোলামী করে নয় কর্মগুনে নেতা হওয়ার সুযোগ দিন। প্লিজ দলকে বাঁচাতে কর্মীদের শহীদ জিয়ার আদর্শিক চেতনায় গড়ে তুলুন।

????রাশেদ মোহাম্মদ আলী
সাবেক ছাত্রনেতা (৮০-৯০)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল‚
সাবেক সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার শহর বিএনপি এবং সদস্য কক্সবাজার জেলা বিএনপি।