ইয়াছির আরাফাত খোকন
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধি:

মধ্যপ্রাচের দেশ আরব আমিরাত আশির দশকের শুরুতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক প্রেরণ শুরু হয়।বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আমিরাতে কর্মি প্রেরণ সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়ে থাকত। সরকারি হিসাব মতে বার লক্ষের বেশি প্রবাসী বসবাস করছে মধ্যপ্রাচের এই শহরে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে শুধু শ্রমিক হয়ে আসা ছাড়াও অনেকেই ব্যবসায়িক চিন্তায় এ দেশে এসে থাকেন এবং যারা শ্রমিক ভিসায় পূর্বেএসেছেন আত্ননির্রভশীল হয়েছে তারাও নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি প্রদেশ আবুধাবি, আজমান, ফুজাইরাহ্, শারজাহ্, দুবাই, রাস আল-খাইমাহ্ এবং উম্ম আল-কুওয়াইন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রয়েছে বোরকার বা আরবিতে আভায়ার দোকান।বোরকার আরাবিক শব্দ আভায়া।আমিরাতের দুবাই, শারজাহ ও আজমান প্রদেশে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো চোখে পড়ার মত। আমিরাতের আভায়া সেক্টরে অনেক বাংলাদেশী টেইলার কাজ করে সাথে সাথে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে হাজার হাজার বাংলাদেশি। সমগ্র আমিরাত জুড়ে যতগুলো বোরকা বা আবায়ার দোকান ও ট্রেইলারিং শপ আছে তার ৮০ ভাগই বাংলাদেশি মালিকানাধীন বা বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত।গুণগত মান আর মূল্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশি দোকানগুলোতে আভায়া খুবই উৎকৃষ্ট যার কারণে স্থানীয় আরবীসহ বিভিন্ন প্রদেশের প্রবাসীরা এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করেন।প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, আবায়া তৈরির জন্য বাংলাদেশিদের বেছে নেন আরবরা। কেননা বাংলাদেশিরা দক্ষ হাতে এগুলো তৈরি করে থাকেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি। তাছাড়া এ শিল্পের জন্য বাংলাদেশিদের দক্ষতা ও সুনাম ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।প্রতিটি দোকানে ৩ থেকে ৪ জন কর্মী কর্মরত থাকে। এসব দোকানে দিনে প্রায় ৩ হাজার দেরহাম যা বাংলা টাকায় ৯০ হাজার টাকা এবং মাসে ৯০ হাজার দেরহাম বাংলা টাকায় প্রায় ২৭ লাখ বেচাবিক্রি হয়।সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান প্রদেশের প্রবাসী জসিম উদ্দিন বলেন এক সময় এই আবায়া বা বোরকা ব্যাবসা ভারতীয় নাগরিক ও ইরানি নাগরিকদের দখলে থাকলে ও বর্তমানে এ ব্যবসা বাংলাদেশিদের আলো দেখাচ্ছে।
এসব আবায়া আর গাউন নিতে আসেন বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ও আরবিরা যা সুনামের সাথে বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশি আবায়া দোকানগুলো।এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু মালিকপক্ষই লাভবান হচ্ছেন না, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। যা এক দিকে বাংলাদেশের অনেক পরিবারে সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে অন্যদিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স।