ইয়াছির আরাফাত, সংযুক্ত আরব আমিরাত:
শুক্রবার (৩১ মে) দুবাইয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩ শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আমিরাত বিএনপি। ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল সালাম তালোকদার ও জাহাঙ্গীর আলম রুপু,র যৌত সঞ্চালনায়
প্রধান অতিথি হিসাবে ভারচুয়েল-ই বক্তব্যে রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মধ্যপ্রাচ্যের সমন্বয়ক আহমেদ আলী মুকিব। তিনি বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানেই বাংলাদেশ। মহা স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছেন তা কিন্তু নয় বরং: ঘোষণা দিয়ে নিজেও সম্মুখ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন৷ সেই জিয়াকে বর্তমান সরকার মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত করছে৷ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে নাম মুছে দিয়ে আওয়ামী সরকার মনে করেছিল জিয়াউর রহমান ও তাঁর দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। কিন্তু পুরো বিশ্ব দেখেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আহ্বানে ডামি নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ দূরে থেকেছে৷ ‘
তিনি আরো বলেন, নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নির্বাচনে নিতে চেয়েও সম্পূর্ণ ব্যার্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার৷ বহিস্কৃত ও পরিত্যক্ত দুই একজন ছাড়া সরাসরি দলের সঙ্গে যুক্ত এমন একজন ব্যক্তিকেও নিতে পারেনি৷ বিএনপির এই ঐক্যবদ্ধতা ধরে রাখারও আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক বিষয়ক এই সম্পাদক।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদেশে থেকেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যারা বিএনপির সঙ্গে জড়িত আছেন সবাইকে আরও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷ অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা থাকলে সেটা সমাধান করতে হবে৷’
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আমিরাতের আইন-কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা আমিরাতের কাছে কৃতজ্ঞ তারা আমাদেরকে নিরাপদ রেখেছে। আমরা দেশে যে নিরাপত্তা পাই না বিদেশের মাটিতে তা পাচ্ছি৷ আমাদেরও উচিৎ এই দেশের নিয়ম নীতি সঠিকভাবে মেনে চলা। নিয়মের মধ্য থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব। সারাবিশ্বে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে জনমত তৈরির জন্য সবাইকে কাজ করার নির্দেশনা দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এই নেতা৷
অনুষ্ঠানে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলি মাহে আলম, উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যথাক্রমে রফিকুল আলম(আহ্বায়ক দুবাই বিএনপি) আমিরুল ইসলাম এনাম , দিদারুল আলম , আ:রশিদ, ইসমাইল হোসেন তালুকদার (সভাপতি অবুধাবি বিএনপি), সাহেদ আহমেদ রাসেল, সামসুন নাহার স্বপ্না, ইঞ্জিনিয়ার করিমুল হক (সভাপতি শারজা বিএনপি), শাহিনুর শাহীন (সভাপতি আজমান বিএনপি), এস এম ফারুক হোসেন , বিএনপি নেতা নাসিম চৌধুরি ,
বক্তারা বলেন যদি মনের মনিকোঠায় থাকে শহীদ জিয়ার নাম, শত বাঁধা বিপত্তিতেও হবে শিরোনাম, তারা বলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ জন্ম না নিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতোনা। শহীদ জিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে ৯ মাসে বীরত্ব গাঁথা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে আবারো তিনি ব্যারাকে ফিরে যান,যা ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে!
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে দ্বিতীয় বার জন্ম দেন!অথচ শেখ হাসিনা দেশে ফিরিয়েই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে ভুমিকা পালন করেন। শহীদ জিয়ার উৎপাদনমুখি রাজনীতির কারণে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা লাভ করে, ফলে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুছিয়ে যায়,শহীদ জিয়ার অবদানের কারনে।সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন,সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে তাদেরকে শক্তিশালী করেন।অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের আরো বক্তব্য রাখেন শহীদুল ইসলাম, নূর হোসেন সুমন , আলাউদ্দিন, শাখাওয়াত হোসেন বকুল, নীল রতন , সাহাদাত হোসেন সুমন,নাসির উদ্দিন চৌধুরী, আবুল বাশার, ইমাম শরীফ ইমু, মুজিবুল হক মঞ্জু , জিয়াউদ্দিন হাসান তফাদার, এম এনাম হোসেন শেখ সেলিম ,আতাউর রহমান আতা, হল মেনেজমেন্ট সহ সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব এস এম মোদাচ্ছের শাহ , আহমেদ হোসেন তালুকদার,জামাল কন্ট্রাকটর, হারুনুর রশীদ, অতিকূল ইসলাম, হুমায়ুন কবির সুমন , এরশাদ কনট্রাক্টর, আরিফ তালুকদার, ইলিয়াস আমির আলী, মুজিবুল হক
সাউন্ড সিস্টেম সহ অনলাইন জুম পরিচালনায় ছিলেন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন , যুবনেতা আনোয়ার , সজিব গাজী,
শ্রমিক দল নেতা তরিকুল , স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুজ্জামান , আব্দুল করীম, দুবাই সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ মকসুদ।
উপস্থিত ছিলেন জয়নাল আবেদিন, যুবনেতা রিপন মজুমদার, আবুল সত্তার, দেলোয়ার হোসেন ,হাজী লোকমান,শেখ রেমন বাবু, এম আলম জীবন, মেহরাজ হোসেন, যুবনেতা ইমাম হোসেন ইমন, যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন,দিদার হোসেন,আব্দুল খালেক ইমন, ক্বাজী এরশাদ , নুরুল কবির সহ আরোও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে আজাদের কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।