অনলাইন ডেস্ক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে অবৈধভাবে অবস্থান ও হল প্রাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জরুরি সভায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে হল ত্যাগের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে হলে অবস্থান করলে তার কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম শামীম হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী।

বিচার বিভাগীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে মামুন-তঞ্চঙ্গা, নেছার-শহীদ জুটি চ্যাম্পিয়ন

হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মাঝরাতে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেনকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের সেই নির্দেশ তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করতে থাকেন তিনি। এছাড়া আবাসিক শিক্ষার্থীকে আসন থেকে নামিয়ে দেওয়াসহ হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে শামীমের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেন হল প্রাধ্যক্ষ। পরে হল প্রশাসন এক জরুরি সভা ডাকে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শামীমকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শামীম কক্ষ ত্যাগ না করলে আজ দুপুরে হল প্রশাসন তার ২১২ নম্বর কক্ষটি সিলগালা করে দেয়। এছাড়া আজ বিকেলে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরের মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

নগরের মতিহার থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মোবারক পারভেজ সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লতিফ হল প্রশাসন একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।

কক্সবাজার পৌরসভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত

নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেনকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবুও সে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করতে থাকে। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা বিরোধী আরও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গতকাল বিকেলে শামীম আমাকে মুঠোফোনে হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দুই-তিনটা লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হল প্রশাসন তার কক্ষ সিলগালা করেছে।

হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে রাবি ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলেছিলাম, স্যার বিভিন্ন রুমে তালা লাগাচ্ছে কারা? চুরির ঘটনাও ঘটছে। এগুলো কারা করছে? উনি বলেছিলেন, রুমে রুমে পাহারা দেওয়ার সময় নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কোনো ব্যবস্থা না নিলে তো হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, তখন বড় ধরনের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। এটুকুই বলেছি। এ ছাড়া কোনো হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।