কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আস্রাফপুর গ্রামের শতবর্ষী বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম। নাতি বেলালের সঙ্গে অটোরিকশায় করে মাজার মসজিদ সংলগ্ন সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। খবর কালবেলা
জীবনে প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে রাবেয়া অনেক খুশি। বললেন, ভালোই তো লাগল। চাপ দিলাম আর হয়ে গেল। শরীরের অবস্থা ভালো না, জীবনের শেষ ভোট মেশিনের মাধ্যমে দিতে পেরে আমি খুশি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শনিবার (৯ মার্চ) সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।
সকাল ৯টার দিকে নাতি বেলালের সঙ্গে ভোট দিতে আসেন প্রায় শতবর্ষী রাবেয়া বেগম। ভোট দিতে ঢোকার আগে নাতি মুঠোফোনে দাদিকে দেখান কীভাবে ভোট দিতে হবে। দাদি নির্বিঘ্নেই ভোট দিয়ে বের হয়ে আসেন।
রাবেয়ার সঙ্গে আসা নাতি বেলাল বলেন, ভোটের ব্যাপারে দাদির আগ্রহ অনেক। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগ্রহ আগেই তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন। মুঠোফোনে তাকে দেখিয়েছি, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হবে। সেটা দেখেই ভোট দিয়েছেন।
এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব চাঁনপুর হারুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সোয়া ১০টায় ভোট দেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রাকিব হোসেন। তার দুই পা নেই। এক হাতেও সমস্যা। তিনিও এসে লাইন ছাড়াই দ্রুত ভোট দেন।
ভোট দিয়ে বের হয়ে তিনি বলেন, ভোট দিতে অসুবিধা হয়নি। দেশের নাগরিক হিসেবে ভোট দিতে এসেছি। আমার মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চলাফেরায় কষ্ট হয়। নতুন মেয়র যেন এই বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।