ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে খোরশেদ আলম (৩৮)কে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ঘাতকেরা কৌশলে সটকে পড়ে, যা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।
এমনটি দাবি করেছেন নিহতের ছোট ভাই মোরশেদ আলম।
সিবিএনকে তিনি বলেন, আগামী ১০ আগস্ট খোরশেদ তাবলীগ জামাতে যাওয়ার কথা। সেজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ২ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। কিন্তু খুনিরা তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দিল না।
এলাকার কিছু লোকের সাথে পূর্ব থেকে আমাদের শত্রুতামি ছিল। তারাই খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানান মোরশেদ আলম। তিনি খুনিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে, খোরশেদ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করেছে থানা।
তবে, ভিকটিমের পরিবারের দাবি, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসতো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
নিহত খোরশেদ আলম স্থানীয় মনু পাড়ার মোহাম্মদ শফি প্রকাশ বাইলার ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম সিবিএনবিডি ডটকমকে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের অভিযোগ বা এজাহার দেয়নি। সন্দেহভাজন আটক ৫ জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান করে দেওয়া হয়েছে।
ওসি এও বলেন, খোরশেদ আলমের শরীরে আঘাতের তেমন কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পরে সঠিক কারণ বলা যাবে।
খোরশেদকে তাবলীগ জামাতে যেতে দিলো না খুনিরা
