আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে ইসরায়েল। ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশের সাথে এ লক্ষ্যে চুক্তিও করেছে দেশটি। কোনোটিতে এরই মধ্যে দূতাবাসের কার্যক্রমও শুরু করেছে তেলআবিব। এ ক্ষেত্রে তাদের তেমন একটা বাধার সম্মুখিন হতে হয়নি। তবে সুদানে তাদের এই প্রচেষ্টায় ধাক্কা লেগেছে।

গত বছর সুদান সরকার ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তিতে সই করে। ফলে সাধারণভাবেই ধরে নেয়া হয়েছিল যে, ইসরায়েলের স্বার্থের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেবে না। কিন্তু ইসরায়েলকে আফ্রিকান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক সদস্যের মর্যাদা দেয়ার ব্যাপারে সংস্থাটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কঠোর বিরোধিতা করে নাকচ করে দিয়েছে সুদান।

এর আগে ইসরায়েলের সাথে করা চুক্তির বিরোধিতায় সুদানে বড় ধরনের বিক্ষোভের খবরও পাওয়া গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হচ্ছে, বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে ইসরায়েল-সুদান সম্পর্ক। ইসরায়েলের হিব্রু ভাষার পত্রিকা ‘মারিভ’ জানিয়েছে, সুদানের আচরণ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন ইসরায়েলের নীতি নির্ধারকরা।

ঘটনার ব্যাখ্যায় মারিভ উল্লেখ করা হয়, গত বছর সুদান সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি করার পরও আফ্রিকান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণের মর্যাদা দেয়ার বিরোধিতা করছে সুদান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকান ইউনিয়ন যে নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত- ইসরায়েলকে এ সংস্থার পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এদিকে সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরো কয়েকজন কর্মকতা নিশ্চির করে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি হলেও সুদানে তাদের দূতাবাস খোলার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ পরিস্থিতিতে সুদানের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন মার্কিন কমর্কর্তারা। দেশটি যাতে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি থেকে বেরিয়ে না যায় সেই চেষ্টায় চাপ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন।