আজিজুর রহমান রাজু:
কারো ১০ আবার কারো ১৫ বছরের চেষ্টায় তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন ছাই হলো মাত্র ১ ঘণ্টায়। শাহ্ ফকির বাজার মার্কেটে লাগা আগুনে নিঃস্ব হলেন তিন ব্যবসায়ী। আগুনে পুড়েছে এই বাজারের দুইটি ফার্নিচারে ও একটি সেলুনের দোকানসহ ৩টি দোকান। পুড়েছে ক্যাশে থাকা নগদ টাকাসহ ১৭ লক্ষ টাকার মালামাল । দোকান মালিকদের অভিযোগ, সময় মতো ফায়ার সার্ভিস এলে হয়ত কিছু মালামাল রক্ষা করতে পেতো।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৭ টায় কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ শাহ্ ফকির বাজারে ব্যবসায়ী হাফেজ আহমেদ ও শাহজাহানের ফার্নিচারের দোকান ও বাবুল পালের সেলুনের দোকান পুড়ে এখন পোড়া ছাইয়ের স্তূপ। এই অগ্নিকাণ্ডে তিন ব্যবসায়ীর প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রায় ১৫ বছর আগে এই বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করেন হাফেজ । একটু একটু করে যে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন; সকালের আগুনে সেটি এখন পোড়া ছাইয়ের ধ্বংসস্তূপ। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি আগুনের ভয়াবহ লিলি শিখায় পুড়ে চাই হয়ে গেছে।
শনিবার দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরে যান ব্যবসায়ী হাফেজ ও শাহাজান। তবে ভোরে খবর পান, বাজারে আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের সামনে চলে আসেন দেখতে পান, তাদের দোকানে আগুন জ্বলছে। এ দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন । ব্যবসায়ী হাফেজ বলেন ‘আগুনে আমার দোকান পুড়ে গেছে। আমার স্বপ্ন শেষ। তিনি জানান, এক সপ্তাহে আগে ধারদেনা করে দোকানে মালামাল আর যন্ত্রপাতি ক্রয় করেন এই আগুনে তার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
শাহ্ ফকির বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, বাজারে আগুন লাগার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে লোকজন নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও দোকান ৩টি রক্ষা করতে পারিনি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
শাহ ফকির বাজার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।