প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রামু শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে রামু যুব একাদশ। উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে রামু যুব একাদশ ১-০ গোলে পরাজিত করে চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাবকে। ফাইনাল খেলায় রামু যুব একাদশের মিডফিল্ডার আয়াত উল্লাহ সেরা খেলোয়াড়, একই দলের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক সাঈদী সেরা গোলরক্ষক এবং পেকুয়া সদর ফুটবল একাডেমীর অধিনায়ক রাসেদ টুর্ণামেন্ট সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্র্ণামেন্ট রামুর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। ১৬ টি দল নিয়ে শুরু হয় রামু শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১। সেরা দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রামু যুব একাদশ ও চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাব। গতকাল রবিবার (২০ ফেব্রæয়ারি) বিকাল ৪টায় রামু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় উভয় দলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কৃতিফুটবলার সহ তিনজন করে বিদেশি কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় অংশ নেন।
প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নির্ধারিত সময়ের ৩২ মিনিটে মিডফিল্ডার আয়াত উল্লাহ (৯ নং জার্সি) গোল করে রামু যুব একাদশকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেয়। পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধের চেষ্টা চালাতে থাকে চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাব। তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ এ খেলায় আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলেও শেষ বাঁশি পর্যন্ত উভয় দলের খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ১-০ গোলে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে রামু যুব একাদশের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সমর্থকরা।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বক্তৃতা করেন, প্রধান অতিথি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, বিশেষ অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদি, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিগ্যান চাকমা, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হোসাইন, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুস্তম আলী চৌধুরী, রামু শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সভাপতি ছিদ্দিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সুপন বড়–য়া শিপন প্রমুখ। ফাইনাল ফুটবল ম্যাচের শুরুতে অতিথিদের পুষ্পস্তবক ও ক্রেস্ট প্রদান করেন সম্মাননা জানান শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের কর্মকর্তা রামুর সাবেক কৃতিফুটবল খেলোয়াড়রা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া। খেলায় ধারাভাষ্যকার ছিলেন, বেলাল আজম হেলালি ও বিপ্লব মল্লিক।
ফাইনালে ট্রফি সহ চ্যাম্পিয়ন দল এক লাখ টাকা ও রানার্স আপ দল পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়াও প্রধান অতিথি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি উভয় দলকে পুরস্কার হিসেবে নগদ আরও ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ প্রদান করেন। আগামীতেও রামুতে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলে ঘোষনা দেন, আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
রামু যুব একাদশ: সাঈদী (অধিনায়ক ও গোলরক্ষক), ডায়মন্ড (বিদেশী খেলোয়াড়), হানিফ, আরিফ, দূর্জয়, শাওন, মোর্শেদ, শাকিল, আয়াত উল্লাহ, মোস্তফা (বিদেশী খেলোয়াড়), সেসিনো (বিদেশী খেলোয়াড়)। এ দলে অতিরিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন, ইসনান, রিসাদ, নুরুল হক, রানা-২, আজাদ, দিদার। চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাব: রফিক (অধিনায়ক), শামিম (সহ-অধিনায়ক ও গোলরক্ষক), বেনজি (বিদেশী খেলোয়াড়), রাফু, রিমন, গেইস (বিদেশী খেলোয়াড়), ওবাইদুল্লাহ, আয়ুব আলী, সৈনিক, এমেকা (বিদেশী খেলোয়াড়), আরিফ। এ দলে অতিরিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন, পলাশ, বিজয়, আরিফ-২, সালাহ উদ্দিন। হলুদ কার্ড: আয়াত উল্লাহ (রামু যুব একাদশ), ওবাইদুল্লাহ (চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাব)। খেলা পরিচালনায় শরীফুজ্জামান খাঁন রেফারী, মাহমুদ হাসান, বিশ্বজিৎ সাহা ও ওমর ফারুক মাসুম সহকারি রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।