লিওনেল মেসির শহর মায়ামিতে খেলা। চাহিদার চাপে একদিন আগে কর্তৃপক্ষ জানাতে বাধ্য হয় সব টিকিট শেষ। কানায় কানায় ভরপুর হার্ড রক স্টেডিয়ামের গ্যালারি। তবে যার খেলা দেখতে আসা সেই মেসিসহ মূল একাদশের ৯ ফুটবলার বিশ্রামে। আর নিষেধাজ্ঞায় ডাগ আউটে ছিলেন না লিওনেল স্কালোনি।
বাংলাদেশ সময় রোববার (৩০ জুন) সকালে কোপা আমেরিকায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে শুরুতে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সও ছিল সাদমাঠা। কানাডা, চিলির পর পেরুর বিপক্ষেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্জেন্টাইনদের উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেন লাউতারো মার্তিনেজ। পরে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আরও এক গোল করেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে টানা ৬ ম্যাচে গোল পেলেন এই স্ট্রাইকার
এতে পেরুতে ২-০ গোলে হারিয়ে, এ-গ্রুপের সেরা হয়ে কোয়ার্টারে খেলবে আর্জেন্টিনা। চার গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলেন লাউতারো।
গ্রুপ পর্বে কোনো গোল হজম করেনি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে কোনো গোল করতে পারেনি পেরু। ফলে কোপা আমেরিকা থেকে বিদায় নিল তারা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে বক্সের বাঁ-প্রান্ত নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর কাছ থেকে বল আলেজান্দ্রো গার্নাচোর শট আটকে যায় পেরুর রক্ষণে।
২৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। লিয়ান্দ্রো পারেদেসের শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন পেরুর গোলকিপার।
৩৭ মিনিটে সেট পিস থেকে বক্সের মাঝখান থেকে জার্মান পেজেলার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪১ মিনিটে প্রতিহত হয় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বাঁ-পায়ের নিচু শট। ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি এসেছিল ৪৪ মিনিটে।
ডান প্রান্ত থেকে কাট ব্যাকে পেরুর বক্সের বল দেন গঞ্জালো মন্টিয়েল। জিওভানি লো সেলসোর শট আটকে আর্জেন্টিনাকে গোলবঞ্চিত করেন পেরুর গোলকিপার।
ফিরতি বলে আলেজান্দ্রো গার্নাচোর শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে বল আসে ডি মারিয়ার কাছে, ওয়ান টাচে তিনি বল বাড়ান পেরুর ডি-বক্সে।
ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেরুর গোলকিপারের উপর দিয়ে বল জালে জড়ান লাউতারো মার্তিনেজ। কোপা আমেরিকার তিন ম্যাচেই গোল করলেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে বদলি হিসেবে করেছিলেন গোল।
৬৯ মিনিটে ডি মারিয়ার কাছ থেকে বক্সে বল পেয়ে কাট ব্যাকের চেষ্টা করে মন্ট্রিয়েল। তবে বল লাগে পেরুর ডিফেন্ডার জেসাস ক্যাস্টিলোর হাতে। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা।
৩০তম জন্মদিনে পেনাল্টি শট নিতে আসেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস। গোলকিপারকে বিপরীত পাশে পাঠালেও বল মারেন ডান পাশে পোস্টে। গোল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হয় আর্জেন্টিনার।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে লাউতারো। একক প্রচেষ্টা বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শটে পেরুর গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি। ফলে নিয়মিত কোচ ও অধিনায়কে ছাড়াই সহজ জয় আর্জেন্টিনার।
এ জয়ে এ-গ্রুপ থেকে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্টে গ্রুপসেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দিনের আরেক ম্যাচে চিলিকে গোলশূন্যভাবে রুখে দিয়ে শেষ আটে কানাডা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।