শাহেদুল ইসলাম মনির কুতুবদিয়া প্রতিনিধিঃ
মেরিনার কর্মকর্তা মনজুর আলমকে দূর্বৃত্তকারীরা হত্যার উদ্দ্যেশে অপহরণ করার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় দূর্বৃত্ত আব্বাস উদ্দিন জনতার হাতে আটক হয়। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় গত বুধবার (১৮মে) ৬জনকে আসামী করে ওয়াসিম উদ্দিন বাদি হয়ে জিআর মামলা রুজু করে। বর্তমানে পলাতক থাকা ৫ আসামী ভিকটিম মনজুর আলম ও তার ভাই মামলার বাদি ওয়াসিম উদ্দিনকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ নেক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২১মে) দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মনজুর আলম (২২) মেরিনার (নাবিক) কর্মকর্তা উপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সদস্য মোজাম্মেল হক, কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন কাদের তুষার,আহতের ভাই জসীম উদ্দিন সওদাগর প্রমুখ।
মেরিনার (নাবিক) কর্মকর্তা উপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে মনজুর আলম ও তার স্ত্রী রেহেনা আক্তার (২০) কে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে পেকুয়া চৌমুহুনীর মোড়ে গেলে কুতুবদিয়া কৈয়াবিল এলাকার আব্বাছ উদ্দীন ফোন দিয়ে জমিদারবাড়ীস্থ তার বাড়িতে বেড়াতে যাইতে বলে। বাড়িতে গেলে নুরুল আমিন (৩০) আব্বাস উদ্দিন (৫০) আক্তার উদ্দীন (৪০) রোকেয়া বেগম (৩৫),আলমগীর (৩০),আমির হোছনসহ (৩৫) একদল দূর্বৃত্তকারীরা আহত মনজুর আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং তাকে হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে সিএনজি গাড়ি নিয়ে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে সামনে চলাচল রাস্তায় গাড়ি গতি কমলে মনজুর আলম চিৎকার দিলে তার শব্দ শুনে পথচারীরা আব্বাছকে আটক করে পুলিশের হতে সোপর্দ করেন। পরে, মনজুর আলমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা আশংকা জনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।