চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
স্মার্ট গ্রুপের ডাইরেক্টর দৈনিক পূর্বদেশের সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়নি সেখানে রাসায়নিক দাহ্য বস্তু আছে।
মুজিবুর রহমান বলেছেন, শুধু রপ্তানিযোগ্য পোশাক আছে। ফলে ফোমের বদলে পানি ব্যবহার করেছেন ফায়ার ফাইটাররা। এতেই একের পর এক রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের বিস্ফোরণ এ ভয়াবহ অবস্থায় এই অগ্নিকাণ্ড।
প্রসঙ্গত, শনিবার (০৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন নেভাতে আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেও ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট আনা হয়েছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের ১০ টি ইউনিট কাজ শুরু করে। সীতাকুণ্ডের বিএমডিপো কেমিক্যাল প্লান্টে বিকট শব্দে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ৫ কিমি. এলাকা জুড়ে কম্পন অনেক ঘরের গ্লাস ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে কতজন হতাহত হয়েছেন এখুনি সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যপক কম্পন অনুভব হয়েছে। কম্পনের আওয়াজ এতটাই তিব্র যে আসেপাশের এলাকার সবার বিল্ডিয়ের কাঁচের গ্লাস ভেঙে পড়ছে।
এদিকে, চট্টগ্রামের প্রাইভেট,ননপ্রাইভেট সকল এ্যাম্বুল্যান্সকে সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপু যাওয়ার আহবান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সেই সাথে সেচ্চাসেবকদের চট্টগ্রাম মেডিকেল যাওয়ার আহবান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন বিপ্লব জানান, ওই ডিপোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের একটি চালান ছিল। ওই পণ্যভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আহতদের আত্মচিৎকারে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। ঘটনাস্থলে আহতদের সাথে আসা ব্যক্তিবর্গ বলছেন হতাহতের সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক এর উপরে ছাড়িয়ে যেতে পারে।