মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে রক্ষার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রস্তাব একনেকে জমা দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এটি একনেকে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি আগামী দেড় মাসের মধ্যে পাশ হতে পারে। প্রকল্পটি পাশ হলেই আগামী নভেম্বর থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া সহ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
শুক্রবার ১২ আগস্ট সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিনিয়র সচিব সৈকতের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাগর পাড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আরো জানান, প্রস্তাবিত স্থায়ী বাঁধটি উত্তরে সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে শুরু করে দক্ষিনে দরিয়ানগর মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। বাঁধের ভেতরে পানি আসা-যাওয়া, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ সমুদ্রের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজাইন প্ল্যান করা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের সামুদ্রিক উচ্চ জোয়ারের পানির তোড়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কবলে পড়ে লাবণী পয়েন্ট সৈকতের বিস্তীর্ণ বালুচর সাগরে তলিয়ে গেছে। সৈকতের প্রচুরসংখ্যক ঝাউবিথীও ভাঙনের কবলে পড়ে উপড়ে পড়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা এসময় সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার কে অবহিত করেন, সৈকত থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও পাউবো’র স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। জিও ব্যাগ ভর্তি বালু ফেলার আগে পর্যন্ত সৈকতে ভাঙন দেখা দেয়নি। কিন্তু ব্যাগ ভর্তি বালু ফেলার পর পরই ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাউবো জরুরি কাজের নামে অহেতুক সরকারি টাকায় ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।
পরিদর্শনকালে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এর সাথে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম, দৈনিক জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি এইচ.এম এরশাদ, এনটিভি’র প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী টিপু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী-কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।