স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে সমান নৈপূণ্য দেখিয়ে স্কটল্যান্ডকে ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এটি টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৩ সালে শারজাহতেই কেনিয়ার বিপক্ষে ১০৬ রানে জয়ের রেকর্ড ছিল তাদের।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাহজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (সোমবার) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১৯০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুজিব-রশিদের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয়ে ১০.২ ওভারে ৬০ রানেই গুটিয়ে যায় স্কটিসরা।

ঝড়োগতির শুরু করলেও আফগানদের বোলিং তোপে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেনি স্কটিস ওপেনাররা। চতুর্থ ওভারে বল করতে এসেই স্কটিস অধিনায়ক কোয়েটজারকে ফেরান আফগান স্পিনার মুজিব-উর রহমান। ব্যক্তিগত ১০ রান নিয়ে অধিনায়কের ফেরার পর খেই হারিয়ে ফেলে স্কটল্যান্ড।

মুজিবের লেগ স্পিনে বিধ্বস্ত হয়ে একে একে উইকেট হারান ম্যাকলয়েড ও রিচি বেরিংটন। দু’জনই সাঝঘরে ফিরেন শূন্য রানে। পরের ওভারে নাভিন উল হকের বলে শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে উইকেট হারান ম্যাথিউ ক্রস। পরের ওভারে আবারও বল করতে এসে স্কটিসদের হয়ে সর্বোচ্চ রান কার জর্জ মুন্সেকে বোল্ড করেন মুজিব। ব্যক্তিগত ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া স্কটল্যান্ড শিবিরে নিজের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন রশিদ খান। দারুণ এক গুগলিতে এলবিডব্লিউ করে মাইকেল লিস্ককে শূন্য রানেই সাঝঘরে ফেরান এই স্পিনার। এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে ফের উইকেট তুলে নেন মুজিব। মার্ক ওয়াটকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তিনি। একইসাথে বিশ্বকাপে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের কীর্তি গড়েন তিনি।

এরপর রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে পরপর তিনটি উইকেট হারিয়ে ৬০ রানেই ইনিংসের ইতি ঘটায় স্কটল্যান্ড। ক্রিস গ্রিভস, জস ড্যাভে ও ব্র্যাড হুইলের উইকেট নিয়ে মাত্র ৯ রান খরচায় আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন আফগান এ লেগ স্পিনার।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। ৫.৫ ওভারে দলীয় ৫৪ রানে ফেরেন শেহজাদ। তার আগে মাত্র ১৫ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় করেন ২২ রান।

৯.৫ ওভারে দলীয় ৮২ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ। তার আগে ৩০ বলে তিন চার ও তিন ছক্কা করেন ৪৪ রান।

এরপর রহমতউল্লাহ গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫২ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন নজিবুল্লাহ জাদরান। ১৮.৩ ওভারে দলীয় ১৬৯ রানে ফেরেন রহমতউল্লাহ। তার আগে ৩৭ বলে এক চার আর ৪টি ছক্কায় করেন ৪৬ রান।

এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে শেষ দিকে মাত্র ৯ বলে ২১ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন নজিবুল্লাহ। ৩৪ বলে ৫টি চার ও তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নজিবুল্লাহ। মাত্র চার বলে দুটি চারের সাহায্যে ১১ রান করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী।

২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান আফগান অফ স্পিনার মুজিব-উর রহমান।#

-পার্সটুডে