সৌদি আরবকে উড়িয়ে দেবে আর্জেন্টিনা—বিশ্বকাপের ড্র হওয়ার পর থেকেই এমন স্বপ্ন দেখে আসছিলেন দলটির সমর্থকেরা। কিন্তু হলো এর উল্টোটা। সৌদি আরবের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও মেসি, দি মারিয়া, লাওতারো মার্তিনেজদের মতো তারকাসমৃদ্ধ আর্জেন্টিনা কেন হেরে গেল! দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫ মিনিটের ঝড়ে কেন এলোমেলো হয়ে গেল আর্জেন্টিনা। ফুটবল বিশ্বে এখন এমন অনেক আলোচনাই চলছে।
ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের চোখে নিঃসন্দেহে আর্জেন্টিনার কিছু দুর্বলতা চোখে পড়েছে। ম্যাচটি বিশ্লেষণ করে দেখে আসা যাক, কী কারণে এমনভাবে হারতে হয়েছে মেসিদের—
রেনারের হাই-লাইন ডিফেন্স আর অফসাইড
সৌদি আরবের কোচ হার্ভি রেনার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বিরাট ফাটকা খেলেছেন কৌশল নিয়ে। তিনি তাঁর দলকে দিয়ে করিয়েছেন হাই-লাইন ডিফেন্স। যে কারণে প্রথমার্ধেই একটি নজির গড়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে মোট ৭ বার অফসাইড হয়েছেন আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়েরা। ২০০২ বিশ্বকাপের পর এমন নজির এই প্রথম।
১০ মিনিটে লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলসহ চারবার সৌদি আরবের জালে বল পাঠিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে তিনটিই অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে। সেই তিন গোলের দুটি লাওতারো মার্তিনেজের, একটি মেসির। সৌদি আরবের অফসাইডের ফাঁদ ভাঙতে পারেননি মেসিরা, উল্টো পা দিয়েছেন বারবার। ম্যাচে মোট ১০ বার অফসাইডের শিকার হয়েছেন মেসিরা।
লং পাসের অভাব
হাই-লাইন ডিফেন্স ভাঙতে এবং অফসাইডের ফাঁদ থেকে সহজে বের হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন লংস পাস। এ জায়গায় দুর্বলতা আছে মেসিদের। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে আসা দলগুলোর মধ্যে কম লং পাসে খেলা দলের মধ্যে অন্যতম আর্জেন্টিনা, যা অন্যগুলোর তুলনায় মাত্র ৬ শতাংশ।
নিখুঁত পাসে সমস্যা
ম্যাচে মেসিদের বলে দখল ছিল ৭০ শতাংশ। কিন্তু নিখুঁত পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন ভালো করেনি আর্জেন্টিনা। অবশ্য এ জন্য বাড়তি কৃতিত্ব দিতে হবে সৌদি আরবকে। মেসিদের জন্য পাস দেওয়ার জায়গা সংকুচিত করে রেখেছিল তারা।
ক্রস কাজে লাগাতে না পারা
দুই উইং থেকে বক্সে আসা ক্রসগুলো সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে ৯টি কর্নার পেলেও সেগুলো থেকে একটিও পরিষ্কার গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে গোলে মাত্র দুটি শট নিয়েই দুবার লক্ষ্য ভেদ করেছে সৌদি আরব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।