মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
অবৈধ অস্ত্র রাখার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একইসাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদয়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত আসামী হলো : কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরের জাহাজপুরা গ্রামের ইজ্জত আলী’র পুত্র নুরুল আলম (৩৪) দন্ডিত আসামী পলাতক রয়েছে।
মামলায় দন্ডিত আসামীর কাছ থেকে তিনটি অবৈধ দেশীয় তৈরি এলজি, তিনটি দেশীয় তৈরি অবৈধ এক নলা বন্ধুক, ১ টি দেশীয় তৈরি অবৈধ পিস্তল, ১ টি দেশীয় তৈরি অবৈধ ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ এবং ৫ টি রাইফেলের কার্তুজ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন-কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ। আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ। একই আদালতের নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
২০১৭ সালের ২১ মার্চ রাত ১১ টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামস্থ র্যাব-৭ এর কক্সবাজার সিপিসি-২ এর একটি টিম টেকনাফের শামলাপুর ইজ্জত আলী সওদাগরের বাড়িতে এক অভিযান চালিয়ে তার পুত্র নুরুল আলমকে আটক করে।
আটককৃত নুরুল আলমের দেহ তল্লাশি করে এবং তার দেখানো মতে, উল্লেখিত অবৈধ অস্ত্র ও কার্তুজ সমুহ উদ্ধার করে। এঘটনায় র্যাব-৭ এর নায়েব সুবেদার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে নুরুল আলমকে আসামী করে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(এ) ধারায় টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৭/২০১৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ২২২/২০১৭ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর : ৯২/২০১৭ ইংরেজি।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচারের জন্য চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলাটির ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, সাক্ষীদের আসামী পক্ষের জেরা, আলামত প্রদর্শন, আসামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান, যুক্তিতর্ক সহ মামলার সকল বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সোমবার মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়। রায়ে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার একমাত্র আসামী নুরুল আলমকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(এ) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একইসাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।