চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় ঝরনায় দেখতে এসে নিখোঁজ এ কে এম নাইমুল হাসান (২০) নামের এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ওই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে তিনি নিখোঁজ হন।
নাইমুল হাসান নগরের পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী উত্তর নাথ পাড়া শাহানা ভবন এলাকার মো.আবুল কাশেমের ছেলে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাঁশবাড়িয়ায় বিলাসী ঝরনায় বেড়াতে গিয়েছিলেন নাইমুল হাসান। ঝরনার পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। সকাল ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
একই দিনে সীতাকুণ্ডে রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সকাল ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই নারীর নাম মায়া নন্দী (৬৫)। তিনি পৌর সদরের পশ্চিম মহাদেবপুর এলাকার সুনীল নন্দীর স্ত্রী। তিনি যমুনা ডায়াগনস্টিক ল্যাব নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ছিলেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে চট্টগ্রামমুখী একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। তিনি পড়ে গেলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাথা থেঁতলে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মায়া নন্দীকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, বাসচাপায় নিহত ওই নারীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।