স্পোর্টস ডেস্ক:    মাজিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে মালদ্বীপ থেকে ফেরার পর থেকেই বসুন্ধরা কিংস স্কোয়াডের বাইরে বসুন্ধরা কিংসের পাঁচ ফুটবলার। বিষয়টি সামনে আসে উড়িশার বিপক্ষে কিংসের এএফসি কাপ ম্যাচের আগে। স্থানীয় আইনে নিষিদ্ধ পণ্য অ্যালকোহল রাখার দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচজন।

নিষিদ্ধ হওয়া পাঁচ ফুটবলার হলেন— সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো,অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার শেখ মুরসালিন, স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ ও ফুলব্যাক রিমন হোসেন। উল্লিখিতদের সঙ্গে দলের একাধিক স্টাফও জড়িত। মালদ্বীপ থেকে ফেরার পর থেকে তাদের বসুন্ধরা কিংসের নিয়মিত স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দল ঘনিষ্ঠ নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র।

সূত্রটি কালবেলাকে জানিয়েছে, মালদ্বীপ থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি-শপ থেকে ওই পণ্যগুলো নিয়েছিলেন উল্লিখিত ফুটবলাররা। যা দেশের প্রচলিত আইনে অনুমতি ছাড়া বহন করা দণ্ডনীয়। বিষয়টি জানার পর দ্রুতই পাঁচ ফুটবলারের বিপক্ষে অ্যাকশন নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষ।

এ সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে রাজি হননি। নিজেদের নাম উল্লেখ করে গণমাধ্যমে কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ক্লাবটির কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, ‘ক্লাব ম্যানেজমেন্ট শৃঙ্খলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দলের সবাইকে একই মানদণ্ডে বিচার করা হয়। দলের শৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্যই একাধিক ফুটবলারকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে।’ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ফুটবলারদের অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ফুটবলাররা এমন কিছু করেছেন যা দলের শৃঙ্খলার পরিপন্থি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ইস্যুতে বসুন্ধরা কিংসের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

যোগাযোগ করা হলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ফুটবলাররও এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এক ফুটবলার জানিয়েছেন, ভুল থেকেই মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে। আমরা এমন একটা ভুল করেছি, যে কারণে শাস্তির খড়গ নেমে এসেছে। আমরা সে শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই দলে ফিরতে পারব। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে দলকে সহায়তার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব।

দল ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘যতদূর জানি, ওড়িশা এফসির বিপক্ষে হোম ম্যাচের পরই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ফুটবলাররা দলে যোগ দেবেন।’ সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় থাকাকালে ফুটবলাররা নিজস্ব উদ্যোগে অনুশীলন করেছেন। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত জিম করেছেন।

বড় প্রত্যাশা নিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে-অফ দিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। শারজাহ এফসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিশন শেষ হয়েছে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। যে কারণে এশিয়া অঞ্চলের দ্বিতীয় সারির ক্লাব প্রতিযোগিতা এএফসি কাপে খেলতে বাধ্য হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার কাছে ৩-১ গোলের হারে এএফসি কাপ মিশন শুরু হয় ক্লাবটির। ওই হারের পর পাঁচ ফুটবলারের নেতিবাচক কাজে সম্পৃক্ততার বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
-কালবেলা