সিভয়েস
বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকার ‘ইজ্জত’ রক্ষা করতে না পারায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার মাঝি ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী। হেরে যাওয়ার জন্য এমপিপত্নী রিজিয়া দুষছেন, ‘খন্দকার মোশতাকদের’। আর এমপি নদভী বলছেন, ‘কালো টাকা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুজনের ব্যক্তিগত আইডি ও পেজে পোস্ট করেন এমপি নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী। সেখানে তাঁরা ওই বার্তা দেন।
বিকেল ৪টার দিকে এমপি নদভী তাঁর ব্যক্তিগত পেজে লিখেছেন,
‘‘প্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -১৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ভাইসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউপি সদস্য ও সাধারণ জনগণ যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলকেই আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, আওয়ামী লীগ এর প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে ষড়যন্ত্র ও কালো টাকার মাধ্যমে চট্টগ্রাম ১৫ আসনে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে আমি বিগত ১০ বছর যেভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসীকে নিরাপদ ও শান্তিতে রেখেছিলাম, সেভাবে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখার জন্য আমি চেষ্টা করে যাব। আমরা জানতে পেরেছি বিভিন্ন ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রার্থী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রতীক নৌকার জন্য কাজ করেছেন, আপনাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আমি আপনাদের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।’’
এর আগে সকাল ১১টার দিকে এমপিপত্নী রিজিয়া রেজা চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের নেতা, কর্মী, শুভাকাঙ্খীসহ যারা নৌকার সম্মান রক্ষার জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন সবাইকে স্যালুট। নেত্রীর কাছে আমরা ক্ষমা চাই খন্দকার মোশতাকদের হাত থেকে আমরা নৌকার ইজ্জত বাঁচাতে পারিনি।’
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভীকে বিপুল ভোটে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব। ভোটের ব্যবধান ৪৬ হাজার ৩৭৬ ভোট। মোতালেবের প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ৬২৮। ৩৯ হাজার ২৫২ ভোটে ‘নৌকা’ ডুবেছে দুবারের এমপি নদভীর।