আবুল কালাম চট্টগ্রাম:
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সদরঘাট থানাধীন নেভাল-টু ঘাট এলাকায় ২০১৮ সালের ২৫ মে ভোরে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে হত্যার মামলায় দুই ছিনতাইকারী যুবককে মৃত্যুদণ্ড ও এক যুবককে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১০ মার্চ) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. রুবেল (২৮) ও মো. আব্বাস (৩৪)।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রুবেল ও আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রায়ের সময় আদালতে আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামি রুবেল জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফরহাদ হোসেন জাকির নামে আরেক যুবককে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরের সদরঘাট থানার নেভাল-টু ঘাট এলাকায় ২০১৮ সালের ২৫ মে ভোরে প্রতিদিনের মতো ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মঞ্জু সেন হাঁটতে বের হন। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে বাসায় ফিরলেও সেদিন তিনি বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন তার খোঁজ করেও ব্যর্থ হন। ওইদিনই তার ছেলে রতন কান্তি সেন নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরদিন ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশের ঝোপঝাঁড়ে মঞ্জু সেনের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ৩ জন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। রুবেল ও আব্বাস জিজ্ঞাসাবাদে তারা মঞ্জু সেনের সোনার কানের দুল, হাতের আংটি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। রুবেল ওই ভবনের দারোয়ান ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।