মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া-কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী এর আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে মকছুদ মিয়া-কে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা জিআর ৩২৪/২০২১ (মহেশখালী) নম্বর মামলায় তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। যার ধারা হলো : ফৌজদারী দন্ডবিধি ৩২৬/৩০৭। তবে অপর একটি ডাকাতি মামলায় মকছুদ মিয়া-কে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী একইদিন তাঁকে জামিন দিয়েছেন।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী আরো জানান, কারাগারে যাওয়া মহেশখালীর মেয়র মকছুদ মিয়া হাইকোর্ট থেকে ৫২৩৬২/২০২১ নম্বর ফৌজদারী মিচ মামলা মূলে গত ২১ ডিসেম্বর ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়র মকছুদ মিয়া কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী জামিন আবেদন নাকচ করে মকছুদ মিয়াকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর ১৫/২০ জন দুষ্কৃতিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মহেশখালী লিডারশিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ফেলে চলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই হামলার ঘটনায় মেয়র মকছুদ মিয়া সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।