নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে যান ও জনচলাচলের প্রধানতম সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঈদগাঁও বাজার থেকে জালালাবাদ ফরাজী পাড়া পর্যন্ত সড়কটি পীচ ঢালা ও পাকা হলেও একঘন্টার বৃষ্টিতেই মাটিতে কর্দমাক্ত হয়ে পিচ্ছিল আকার ধারন করেছে। ফসলী জমি থেকে ইট ভাটার জন্য কেটে নেয়া চোরাই মাটিবাহী ডাম্পার ট্রাক থেকে মাটি পড়ে পাকা সড়কজুড়ে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
এলাকাবাসী জানান, গত মাসাধিককাল সময় ধরে ঈদগাঁওর বিভিন্ন আবাদী বিলের ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কেটে নিচ্ছে একটি চক্র। জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ায় লোকালয়ের ভিতরে ফসলী জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা “টিকে ব্রিক ফিল্ড” এ এসব চোরাই মাটি সরবরাহ করছে তারা।
মাটিবাহী ওভারলোডেড দ্রুতগামী ডাম্পার ট্রাক চলার সময় সড়কে ছিটকে পড়া মাটি গত রাতের বৃষ্টিতে চটচটে ও পিচ্ছিল হয়ে সড়কজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েছে উক্ত সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রী সাধারন।
ইজিবাইক চালক আবদুর রহমান জানান, ডাম্পার থেকে ছিটকে পড়া মাটি বৃষ্টিতে ভিজে পুরো সড়ক পিচ্ছিল আকার ধারন করেছে। এতে চরম বিপদের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হচ্ছে বলে জানান অপর চালক নুরুল হক।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সরকারী অনুমোদনবিহীন উক্ত ব্রিক ফিল্ডে রাতদিন টপসয়েল পরিবহন করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মাটিবাহী দ্রুতগামী ডাম্পারের ধাক্কায় গত ১৪ জানুয়ারী রাতে জালালাবাদ ইউনিয়নের ছাতি পাড়া রাস্তার মাথায় মামুনুর রশীদ নামের এক যুবক মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়৷
কিন্তু এরপরেও ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কেটে নেয়া থামেনি।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শেখ নাজমুল হুদা ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।