আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার):
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে বিজিবি ও মাদক কারবারিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)র অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খারাংখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৪ থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর দিকে হোয়াইক্যং খারাংখালী এলাকার পার্শ্ববর্তী নাফ নদীর সীমান্ত দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী বিওপি হতে একটি বিশেষ টহলদল নাফ নদীর তীরে বেড়ীবাঁধের আড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল সন্দেহভাজন ৫/৬ জন মাদক কারবারীকে একটি কাঠের নৌকায় মিয়ানমারের মুদদ্বীপ থেকে নাফনদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। নৌকাটি শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশ পার্শ্বে নাফ নদীর তীরে আসলে বাংলাদেশ এর পার্শ্ব থেকে ২/৩ জন লোক বেড়ীবাঁধ দিয়ে নিচে নেমে নৌকাটির কাছে যায়। তারা নৌকাটির কাছে গেলে নৌকা হতে মাদকের চালান তাদেরকে হস্তান্তর করার সময় বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাত তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে মাদক কারবারিরা বিজিবি’র টহলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারিরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে খারাংখালী বিওপি হতে আরও একটি টহল রিইনফোর্সমেন্ট হিসেবে প্রেরণ করা হয়। যৌথ টহলদল ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে নদীর তীর থেকে ২টি বস্তা উদ্ধার করে। উক্ত বস্তা থেকে ৫কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১লাখ ৮০হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। মাদক কারবারীদেরকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন মাদক কারবারি কিংবা তাদের সহযোগিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, উক্ত মাদক কারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।