মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া জামিন পেয়েছেন। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি ৬৭৫/২০২২ ইংরেজি নম্বর ফৌজদারী মিচ মামলার শুনানী শেষে তাঁকে জামিন প্রদান করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস. এম আব্বাস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী এর আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে মকছুদ মিয়া-কে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এ আদেশের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে মেয়র মকছুদ মিয়া জামিন চেয়ে ফৌজদারী মিচ মামলা দায়ের করলে বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মকছুদ মিয়া-কে জামিন প্রদান করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা জিআর ৩২৪/২০২১ (মহেশখালী) নম্বর মামলায় তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। যার ধারা হলো : ফৌজদারী দন্ডবিধি ৩২৬/৩০৭।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস. এম আব্বাস উদ্দিন আরো জানান, জামিন লাভ করা মহেশখালীর মেয়র মকছুদ মিয়া হাইকোর্ট থেকে ৫২৩৬২/২০২১ নম্বর ফৌজদারী মিচ মামলা মূলে গত ২১ ডিসেম্বর ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়র মকছুদ মিয়া কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী জামিন আবেদন নাকচ করে মকছুদ মিয়াকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী কর্তৃক মেয়র মকছুদ মিয়া-কে কারাগারে প্রেরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তাঁকে জামিন প্রদান করেছেন।
মেয়র মকছুদ মিয়া’র পক্ষে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী মিচ মামলায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি এডভোকেট আমির হোসেন সহ ১৫/১৫ জন আইনজীবী শুনানি করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্র পক্ষে পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম শুনানির সময় জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর ১৫/২০ জন দুষ্কৃতিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মহেশখালী লিডারশিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ফেলে চলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই হামলার ঘটনায় মেয়র মকছুদ মিয়া সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে এই মামলা করেন আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।